ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট নামে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এই প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী ফাতিমা তাসনিম জুমা। সেই জুমা জানালেন, তিনিও ‘শিবিরের বট আইডির অ্যাটাক’ এর শিকার হয়েছিলেন।
সম্প্রতি রাজনীতিতে আসা নারীদের সাইবার বুলিয়িং নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ঢের। ডাকসু নির্বাচনে বাম জোট সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১’ ও ‘অদম্য ২৪’-এর প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে এক ফেসবুক পোস্টে গণধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থী আলী হুসেন। এরপর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে চারিদিকে।
তারই প্রেক্ষিতে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নিজের সাইবার বুলিয়িংয়ের শিকার হওয়ার কথা জানান জুমা। তিনি বলেন, ‘শিবিরের বট আইডির এটাক (অ্যাটাক) আমিও কম খাই নাই। মোটামুটি সবার রুট লেভেলই সেইম, বাম বাদে।’
ফাহমিদাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হুসেনের শিবিরের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে শেষ তিন দিনে কম জলঘোলা হয়নি। যদিও ঢাবি শিবির ও শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি একাধিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে আলীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তবে জুমা প্রসঙ্গটা টেনেছেন অন্যদিকে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, নারীকে কটুকথা বলে হেয় করেছেন অন্য দলের আরেক নারী নেত্রী, তখন তা নিয়ে আলোচনা হয়নি, এখন কেন হচ্ছে?
তিনি বলেন, ‘এদিকে একটা দলের মনসুরার মতো পোস্টেড নেত্রী সেবাদাসী বললে কোনো প্রতিবাদ হয় না; কিন্তু কে কাকে সমর্থন করসে সেটা নিয়ে তারে নেতা বানাইয়া ফাঁসি চাওয়া যাবে।’
ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘স্লাটশেমিং এর ব্যাপারে আমি কোনো প্যানেলে যাওয়ার আগে একবার শিবিরের এক নেতাকে একটা ইস্যু এড্রেস করেছিলাম। তার এপ্রোচ কী। আর আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের ব্যাপারে অবগত করার পরেও আরেক দলের নেতার এপ্রোচ কী। যারা পার্থক্য দেখাতে বলসেন, নেন। দেখাইলাম।’
এরপর তিনি তার পোস্টে কিছু স্ক্রিনশট যুক্ত করে দেন। যেখানে তিনি ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল দুই নেতাকে দুটি সাইবার বুলিয়িংয়ের ঘটনায় মেসেজ দেন। তাদের দুজনের জবাব তুলে ধরেন সে দুই স্ক্রিনশটে।
আমারবাঙলা/জিজি