কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে হাসপাতালের বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করা হয়। এসময় বহির্বিভাগের চিকিৎসক ডা. সামরিন সুলতানার দায়িত্বে অবহেলা, নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ছুটিতে থাকার অভিযোগের নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক।
জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় জানান, ডাঃ সামরিন সুলতানা ২০২৫ সালের ২৪ মে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন। এরপর কয়েকদিন আগে রোগীদের সেবার পাশাপাশি মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছে দুদক। কিন্তু ডাঃ সামরিন সুলতানা অনুমতি না নিয়ে তার কর্মস্থল থেকে ত্যাগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ডাঃ সামরিন সুলতানা বেশির ভাগ সময় তার কর্মস্থলে অনেক লেট করে এসেছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, কর্মকর্তার অনুমতি বিহীন ১৭ দিন কর্মস্থলে আসেননি তিনি। বর্তমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৫টি ডাক্তার ও ১৮০ জন নার্স, ৩০ জন কর্মচারী, ২০জন টেকনো লিজ, ১৪ জন টেকনিশিয়ান তাদের ডিজিটাল হাজিরা সিট পর্যবেক্ষণ করে দুদক কিন্তু এতে বেশির ভাগ ডাক্তার ও নার্সের অনুপস্থিত আছেন। এ সংক্রান্তিতে একটি প্রতিবেদন করে দুদুকের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল কবীর বলেন গেল দুদিন আগে রোগী দেখার সময় ডা. সামরিন সুলতানার মোবাইলে গেম খেলার একটি ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচার হলে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে শোকজ করা হয়েছে। ডাক্তার অনুপস্থিতিতের বিষয়ে বলেন, কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। এতে অনুপস্থিতিতের ঘটনা আগের তুলনায় কিছুটা কমছে। তবে কয়েকদিনের ভেতর ঠিক হয়ে যাবে—বলে তিনি বলেন।
আমারবাঙলা/আরপি