ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগে অর্ডিন্যান্স লঙ্ঘন, ভুল ক্রেডিট বণ্টন এবং বিভাগীয় ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা গুরুতর একাডেমিক সমস্যায় পড়েছেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ, অর্ডিন্যান্সের ধারা ১০.৬ ও ১৩.২ অনুযায়ী রিটেক ও মান উন্নয়ন পরীক্ষার স্পষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতি করোনাকালীন সেশনজট কমানোর কারণে মান উন্নয়ন পরীক্ষা স্থগিত করে দেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, সকল সেমিস্টারের পরীক্ষা ৪র্থ বর্ষ শেষে একসঙ্গে নেওয়া হবে এবং সিজিপিএ ৩.০০–এর নিচে যে কোনো কোর্সে পরবর্তীতে মান উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে বিভাগ শুধুমাত্র ‘ফেইল করা’ শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত সুযোগ রেখে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।
তাদের আরও অভিযোগ, বিভাগে মোট ১৩৬ ক্রেডিট থাকলেও ভুলক্রমে ১২৮ ক্রেডিট অনুযায়ী পাঠদান হয়েছে। পরে ফলাফলে অসঙ্গতি দেখা দিলে তাদের ওপর পুরনো ২০১৮–১৯ সেশনের অর্ডিন্যান্স চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা তারা নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহের মধ্যে মান উন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং সমাধান না হলে তারা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান বর্তমানে সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকায় কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
অন্যদিকে বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ জানান, প্রথমে ২০ জন শিক্ষার্থীর ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার আবেদন বিভাগীয় একাডেমিক কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৮ জনের আবেদন অনুমোদন পায়। পরে বাকি ১২ জনের আবেদন নিয়েও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন বিষয়টি উপাচার্যের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আমারবাঙলা/এসএ