শুধু গরমকাল নয়, শীতকালেও টক দই খাওয়া যেতে পারে। শীতের সময় সরাসরি ফ্রিজের দই খাবেন না। আর এসিডিটির সমস্যা থাকলে খালি পেটে কখনো টক দই খাবেন না। আর রাত্রিবেলায়ও টক দই খাবেন না।
রোজ অল্প পরিমাণে টক দই খেলে কী কী উপকার পাবেন, তা জেনে নিন।
টক দই খাওয়া সব সময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে টক দই খাওয়া যেতে পারে। চিনির পরিবর্তে লবণ দিয়ে টক দই খেলে উপকার বেশি পাবেন।
তাই এই নিয়ম মেনে চলুন। ওটস, কর্নফ্লেক্স, মুসলি—সব কিছুর সঙ্গেই টক দই মিশিয়ে খাওয়া যায়। এ ছাড়া শুধু টক দইও খেতে পারেন।
শসা ও টক দই দিয়ে তৈরি রায়তা খেলেও ভালো থাকবে শরীর-স্বাস্থ্য।
নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করবে
টকদইতে থাকে ক্যালসিয়াম। এই উপকরণ আমাদের হাড়ের গঠন মজবুত করে।
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর হয় টক দই খেলে। নারীরা বিশেষ করে প্রতিদিন অল্প টকই খান। কারণ পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীর ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কম থাকে।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার পরিবর্তে নিয়মিত টক দই খেলে ক্যালসিয়ামের অভাব হবে না শরীরে। হাড় শক্তপোক্ত হবে। চট করে চোট লাগার সম্ভাবনা থাকবে না।
টক দই খেলে ভালো থাকবে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য। উজ্জ্বল থাকবে ত্বক। চুল হবে নরম ও মোলায়েম। চুল পড়ার সমস্যা কমবে। আসলে টক দই খাওয়ার অভ্যাস চুল ও ত্বকে সঠিক মাত্রায় পুষ্টির জোগান দেয়। তাই চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো হয়ে যায়।
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে টক দইয়ের মধ্যে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে টকদই। প্রতিদিন অল্প করে খেলে বাড়বে ইমিউনিটি। দূর হবে হজমের যাবতীয় সমস্যা। অতএব এই খাবারের যে অনেক গুণ তা বোঝাই যাচ্ছে। তাই প্রতিদিনই অল্প পরিমাণে টক দই রাখুন পাতে।
আমারবাঙলা/এসএ