শীতকাল এলেই তাপমাত্রা কমে যায় এবং সর্দি–কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সময় শরীর সুস্থ রাখা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে।
আদা: প্রদাহ প্রতিরোধে কার্যকর
আদা তার ঔষধি গুণের জন্য বহুদিন ধরেই পরিচিত। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে। আদা মধু মিশিয়ে গরম পানীয় হিসেবে বা দৈনন্দিন খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দারুচিনি: উষ্ণতা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
দারুচিনি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। শীতকালে মধুর সঙ্গে পানীয় হিসেবে বা খাবার ও মিষ্টান্নে দারুচিনি ব্যবহার করা যেতে পারে।
হলুদ: রোগ প্রতিরোধের সহায়ক
হলুদে থাকা কারকিউমিন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করে। চিকিৎসকদের মতে, গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে এবং অসুস্থতার ঝুঁকি কমে।
পুদিনা: মৌসুমি রোগ থেকে সুরক্ষা
পুদিনা শুধু সুগন্ধিই নয়, এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ। এটি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা নাক বন্ধভাব কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন এক কাপ গরম পুদিনা চা পান করার পরামর্শ দিয়েছেন।
গ্রিন টি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার
গ্রিন টিতে প্রচুর পলিফেনল রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন অসুখ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। দিনে এক থেকে দুই কাপ চিনি ছাড়া গ্রিন টি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ভেষজ উপাদানগুলোর পাশাপাশি সুষম খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম শীতকাল জুড়ে ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।
আমারবাঙলা/এসএ