পশ্চিম সুদানের দুর্গম মাররা পর্বতমালায় ভূমিধসে অন্তত ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বলছে, টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টির পর গত রবিবার এই ভূমিধস ঘটে, যাতে ‘তারাসিন’ নামের একটি গ্রামের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস হয়। দুর্ঘটনায় মাত্র একজন প্রাণে বেঁচে গেছেন।
এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কাছে জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি।
২০২৩ সালে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে লড়াই শুরু হলে উত্তর দারফুর রাজ্যের অনেক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই মাররা পর্বতমালা অঞ্চলে।
বিবিসি লিখেছে, গৃহযুদ্ধে দেশটিতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে।
গৃহযুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে পার্থক্য থাকলেও এক মার্কিন কর্মকর্তার মতে, ২০২৩ সাল থেকে প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। আর ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
যে অঞ্চলে ভূমিধস ঘটেছে, তা নিয়ন্ত্রণ করে সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মির একাংশ। তারা সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়ে আরএসএফের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছে।
অনেক দারফুরবাসী মনে করেন, আরএসএফ ও তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা দারফুর অঞ্চলের জাতিগত বৈচিত্র্য ধ্বংস করে সেখানে আরবের শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
আমারবাঙলা/এফএইচ