আনুষ্ঠানিকভাবে মরক্কো-আমেরিকান র্যাপার ফ্রেঞ্চ মন্টানার সঙ্গে বাগদান সেরেছেন দুবাইয়ের রাজকুমারী শেখা মাহরা। গত ২৯ আগস্ট ইন্সটাগ্রামে এক যৌথ পোস্টে এ ঘোষণা দেন তারা। যদিও পোস্টে মাহরার হাতে থাকা বিশাল আকারের হীরের আংটিই সবার নজর কাড়ছে।
ছবিতে দেখা গেছে, মন্টানা মাহরার হাত ধরে আছেন আর আংটিতে জ্বলজ্বল করছে পান্না-আকৃতির হীরা। আংটিটি তৈরি করেছেন সেলিব্রিটি জুয়েলার এরিক দ্য জুয়েলার। ১১ দশমিক ৫৩ ক্যারেটের এই এমেরাল্ড কাট হীরার আংটি চারপাশে ছোট ছোট হীরা জড়িয়ে বসানো হয়েছে। আংটিটির বাজারমূল্য আনুমানিক ১১ লাখ মার্কিন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুনে প্যারিস ফ্যাশন উইকে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। সেখানে মন্টানা র্যাম্পেও হাঁটেন।
তাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এই দম্পতি এখনও বিয়ের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেননি। তবে ভবিষ্যৎ একসঙ্গে কাটানোর অপেক্ষায় আছেন।
শেখা মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মেয়ে। ২০২৪ সাল থেকে তাকে মন্টানার সঙ্গে একাধিকবার দেখা গেছে। কখনও মসজিদে, কখনও মরুভূমিতে উট ভ্রমণে কিংবা রেস্তোরাঁয় তারা একসঙ্গে ছিলেন।
এ বাগদান মাহরা ও মন্টানার জীবনে নতুন অধ্যায়। দুজনেরই অতীতে বিবাহিত জীবন ছিল। মাহরা এর আগে শেখ মানা বিন মোহাম্মদ আল মাকতুমের স্ত্রী ছিলেন। তাদের দেড় বছর বয়সি এক মেয়েও রয়েছে।
গত বছর জুলাইয়ে ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ্যেই তিনি বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। বিবাহবিচ্ছেদের পর মাহরা ‘মাহরা এম১’ নামে নিজস্ব পারফিউম ব্র্যান্ড চালু করেন, যার প্রথম পণ্য ছিল ‘ডিভোর্স’।
অন্যদিকে ফ্রেঞ্চ মন্টানার আসল নাম করিম খারবুশ। ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উদ্যোক্তা নাদিন খারবুশের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি। তাদের ১৬ বছর বয়সি ক্রুজ নামের এক ছেলে রয়েছে।
আমারবাঙলা/জিজি