পৌষের প্রথম সপ্তাহে শীতের তীব্রতা তেমন না থাকলেও মাঝামাঝি সময়ে এসে সারাদেশে গণ কুয়াশার সঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীতে মনোহরদীর জনজীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।
মনোহরদীর সবখানেই শীতের দাপট, বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। গত দুই-তিন দিন ধরে শীত আরও বাড়ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
তীব্র শীতের সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক এবং খেটে খাওয়া মানুষরা, যাদের অধিকাংশই খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয়। টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোর ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমি ও বোর বীজতলায়।
কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট “কোল্ড ইনজুরি”-তে নাবি বীজ তোলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোর আবাদের চারা সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুনা আক্তার বলেন, “বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারা সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া তিনি উল্লেখ করেছেন, শীত ও কুয়াশার কারণে ফসলের ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের সময়মতো সেচ ও বীজের যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব রয়েছে।
আমারবাঙলা/এসএবি