টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এর আগে বুধবার সকালে পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল, পরে কিছুটা কমে আসে। তবে রাতের বৃষ্টিপাত ও নতুন ঢলে বৃহস্পতিবার তা ফের বেড়ে ১১ সেন্টিমিটার ওপরে চলে যায়। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার ভাটির এলাকা—নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব জেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে রোপা আমনসহ নানা ফসলের ক্ষেত। আতঙ্কে অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু এলাকায়।
রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মিটারী ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, ‘সকাল থেকেই হু হু করে পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে গেছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী দু’দিন ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লক্ষ্মিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, সকাল থেকে পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবারের বন্যা ভয়াবহ রূপ নেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের পরিবারগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী দু’দিন এই অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদী বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
আমারবাঙলা/এফএইচ