টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান আজ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ ঘোষণা দেন। এর আগে গত বছর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান এখন থেকে শুধু ওয়ানডে খেলবেন।
টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণায় কোহলি লিখেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার ব্যাগি নীল (ভারতের টেস্ট ক্যাপ) পরেছিলাম আজ থেকে ১৪ বছর আগে। সত্যি বলতে, এই ফরম্যাট আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে, কখনও কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমাকে পরীক্ষা ফেলেছে, গড়েছে, আর এমন কিছু শিক্ষা দিয়েছে যা সারাজীবন বয়ে বেড়াব।’
২০১১ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্টে পা রেখেছিলেন কোহলি। গত ১৪ বছরে খেলেছেন ১২৩ টেস্ট, ৩০ সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৯২৩০ রান।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে কী পেয়েছেন বোঝাতে গিয়ে কোহলি লিখেছেন, ‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে একটা গভীর ব্যক্তিগত অনুভব থাকে। নিঃশব্দ পরিশ্রম, দীর্ঘদিনের সংগ্রাম, ছোট ছোট মুহূর্ত-যেগুলো কেউ দেখে না, কিন্তু সেগুলিই আজীবন মনে গেঁথে থাকে।’
গত নভেম্বর–জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি থেকেই কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেই সিরিজে পাঁচ টেস্টে তিনি ৯ ইনিংসে ২৩.৭৫ গড়ে ১৯০ রান করেন।
সিরিজে যে আটবার আউট হয়েছেন, তার মধ্যে সাতবারই অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্টাম্পের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়া সফর ভালো না কাটলেও কোহলি শিগগিরই অবসর নেবেন বলে অনেকেই ধারণা করেননি। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই বিসিসিআইয়ের কাছে টেস্ট থেকে অবসরের কথা জানিয়েছিলেন কোহলি।
তবে বোর্ড তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। সেটি টেস্ট ছেড়ে দেওয়ার মনস্থির করে ফেলেছেন, সেটি জানিয়ে কোহলি লিখেছেন, ‘এখন যখন আমি এই ফরম্যাট থেকে সরে যাচ্ছি, এটা সহজ নয়। কিন্তু আমার কাছে এটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে হচ্ছে। আমি টেস্ট ক্রিকেটকে সবকিছু দিয়েছি, আর এটা আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে তার চেয়েও অনেক বেশি।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতায় ভরা হৃদয় নিয়ে বিদায় নিচ্ছি-এই খেলাটার প্রতি, মাঠে আমার সঙ্গী হওয়া মানুষদের প্রতি, আর তাদের প্রতি যাঁরা আমাকে এই পথচলায় সম্মান ও ভালোবাসা দিয়েছেন।’
বিদায়বেলায় ভারতের ২৬৯তম টেস্ট ক্রিকেটার পরিচয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কোহলি লিখেছেন, ‘আমার টেস্ট ক্যারিয়ারের দিকে ফিরে তাকালে সবসময়ই একটা হাসি ফুটে উঠবে মুখে।’
আমারবাঙলা/জিজি