বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারক নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় নির্মাতা ও অভিনেত্রী নন্দিতা দাস। ৭ সদস্যের বিচারক দলের নেতৃত্ব দেবেন কোরীয় নির্মাতা না হং-জিন। ইতিমধ্যে উৎসবের সব বিভাগের সিনেমার নাম ঘোষণা করা হলেও বাকি ছিল বিচারক প্যানেলের নাম ঘোষণা।
দেশ–বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে আগেও বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন নন্দিতা দাস। দুবার ছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক। ২০০৫ সালে কানের প্রধান বিভাগের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
পরে ২০১৩ সালে সিনেফন্ডেশন অ্যান্ড শর্টফিল্ম বিভাগের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি কার্লোভি ভেরি, মরক্কো, সাংহাইসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে বিচারক ছিলেন।
বুসানের অফিশিয়াল সাইট থেকে জানা যায়, বুসানে এবারই প্রথম প্রতিযোগিতা বিভাগ ও বুসান অ্যাওয়ার্ড চালু হচ্ছে। এই বিভাগে বিচারকেরা বুসান অ্যাওয়ার্ডসহ পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেবেন। নন্দিতা দাস ছাড়াও জুরি প্যানেলে রয়েছেন কোরীয় অভিনেত্রী হান হিয়ো-জু, হংকংয়ের অভিনেতা নি লিউং কা-ফাই, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা কোগোনাদা, ইন্দোনেশিয়ার প্রযোজক উলিয়া ইভিনা ভারা এবং ইরানের নারী নির্মাতা মারজিয়ে মেশকিনে।
অভিনেত্রী হিসেবে নন্দিতা দাসের ক্যারিয়ার তিন যুগের বেশি। অভিনেত্রী হিসেবে ফায়ার, আর্থ, বাবন্দর, আমার ভুবনসহ একাধিক সিনেমা দিয়ে নজর কেড়েছেন, পেয়েছেন এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড, ফিল্ম ফেয়ারসহ একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা।
পরে পরিচালনাতেও আসেন নন্দিতা দাস। পরিচালক হিসেবে প্রথম সিনেমা গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ফিরাক। ২০১৮ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্তে রিগা বিভাগে অফিশিয়াল মনোনয়ন পায় তাঁর মান্টো। লেখক সাদত হাসান মান্টোর জীবনের চড়াই–উতরাইয়ের ঘটনা নিয়েই এ সিনেমা। সিনেমার মান্টো চরিত্রে অভিনয় করেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী।
বুসানের প্রতিযোগিতা বিভাগে এবার নির্বাচিত হয়েছে এশিয়ার ৭ দেশের ১৪টি সিনেমা। এশিয়ার সমসাময়িক ও প্রাসঙ্গিক গল্পগুলো জায়গা পেয়েছে। ৩০তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসব ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে চলবে ২৬ তারিখ পর্যন্ত।
আমারবাঙলা/জিজি