ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য শাহ আলম দুলালের চাঁদাবাজি ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার তুলাতলি বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন করেন আজিজ ফাজিলপুর ও সেকেন্দারপুর এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে দাগনভূঞার তুলাতুলি আরএলবি-২ ইটভাটার মালিক আবদুর রহমান বলেন, পুলিশের সাবেক এই সদস্য আমার কাছে ২১ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছেন। চাঁদার টাকা না দেয়ার কারণে সে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইইটভাটা এই পর্যন্ত চার বার ভেঙ্গেছে। যার ফলে আমরা মালিক পক্ষ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তেমনি শতশত শ্রমিক ও অগ্রিম ইট ক্রেতা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ভুক্তভোগী জানে আলম বলেন , দুলাল হচ্ছে একজন দখলদার। সে আমারও সব সম্পত্তি জোর করে দখলে রেখেছে। উক্ত ইটভাটা তার কারনে ভাঙ্গা হয়েছে। এলাকাবাসীর সাথে আমিও আমার ভাই দুলালের বিচার চাই।
এছাড়া মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য শাহ আলম দুলালের অদৃশ্য শক্তি বলে দাগনভূঁঞা থানাধীন আজিজ ফাজিলপুর ও সেকান্দরপুর এলাকার মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তার অত্যাচার হইতে আজিজ ফাজিলপুর ও সেকান্দারপুরবাসী চিরতরে মুক্তি কামনা করে তার যথাযথ শাস্তির দাবি জানান বক্তরা।
মানববন্ধনে সেকান্দরপুর এলাকার নূর ইসলাম, আবুল বাসার, মজিবুল হক, আজিজি ফাজিলপুর এলাকার নাছির উদ্দিন, মো. মামুন, দেলোয়ার হোসেনসহ সর্বস্থরের এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম দুলাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মানববন্ধন করা হয়েছে এটি সত্য নয়। মূলত ব্রিকফিল্ডের চলাচলের রাস্তাটি আমার পৈতৃক সম্পত্তির উপর এ নিয়ে আমি পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে জায়গা ফিরে পেতে অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া ব্রিকফিল্ডের পাশে আজিজ ফাজিলপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা ও মানুষের ঘনবসতি রয়েছে। এসব কারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুমতি না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি জানান, ২০২১ সাল থেকে ইটভাটার লাইসেন্স না থাকা ও ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের লিখিত অভিযোগ রয়েছে এ ইটভাটার বিরুদ্ধে। এতে অধিদপ্তরের সদরদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালিয়ে ইটভাটাটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভুঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) লুৎফর রহমান জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি তবে এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আমারবাঙলা/ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            