একটা বিশ্বরেকর্ড করে ফেলেছিলেন আগেই। সেই সুবাদেই ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সাহিবজাদা ফারহান বোধকরি এমন এক দিনকেই বেছে নিয়েছিলেন আরেকটা বিশ্বরেকর্ড করবেন বলে। পিএসএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে তার দল ইসলামাবাদ যখন ধুঁকছে, তখন তিনি খেললেন দারুণ এক ইনিংস।
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে গত বুধবারের ১ম কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদের টার্গেট ছিল ২১০ রানের। বড় স্কোর তাড়া করতে গিয়ে দলকে ১০ ওভারেই ১০০ রানের পুঁজি এনে দেন সাহিবজাদা ফারহান। নিজে করেছেন ৩৫ বলে ৫২ রান। আর সেটাই তাকে নিয়ে বিশ্বরেকর্ডের কাছে।
এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে কম ইনিংসে ১০০০ টি-টোয়েন্টি রানের বিশ্বরেকর্ড সাহিবজাদা ফারহানের। ২০২৫ সালে এসে মাত্র ১৮ ইনিংসেই হাজার রান পূরণ করেছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। বিশ্বরেকর্ডটা অবশ্য ভাগ করে নিতে হচ্ছে সাহিবজাদাকে। তবে যার সঙ্গে ভাগ করছেন, তার নামটাও ক্রিকেটে কিংবদন্তির পর্যায়েই। ২০১৬ সালে নিজের ফর্মের চূড়ায় দাঁড়িয়ে ১৮ ইনিংসেই টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রান করেছিলেন বিরাট কোহলি।
টি-টোয়েন্টিতে এক ক্যালেন্ডার বছরে দ্রুততম হাজার রান :
১৮ ইনিংস - বিরাট কোহলি (২০১৬ )
১৮ ইনিংস - সাহিবজাদা ফারহান (২০২৫)
২০ ইনিংস - মোহাম্মদ রিজওয়ান (২০২১)
অবশ্য, বিশ্বরেকর্ড গড়ার ম্যাচে সাহিবজাদা নিজের দলকে জেতাতে পারেননি। কোয়েটার দেয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইসলামাবাদ অলআউট হয়েছে ১৭৯ রানে। ৩০ রানে হারের পর তারা এখন অপেক্ষা করছে ২য় কোয়ালিফায়ার খেলার জন্যে। করাচি এবং লাহোরের আজকের ম্যাচের বিজয়ী দল হবে তাদের প্রতিপক্ষ। আর গতকাল জেতার পর কোয়েটা সরাসরি চলে গেছে ফাইনালে।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল এক বছরে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেলেন সাহিবজাদা ফারহান। মাত্র ৯ ইনিংসের ব্যবধানেই ৪টি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। যে রেকর্ডে নাম আছে ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, জশ বাটলার, শুভমান গিলদেরও। তবে সাহিবজাদা ৪র্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাকিদের তুলনায় অনেক কম ম্যাচ খেলেই।
এবারের পিএসএলেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাহিবজাদা ফারহান। ১১ ম্যাচে তার রান ৪৪৬। সামনেই বাংলাদেশ সিরিজের দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। আগুন ঝরানো ফর্মে থাকা এই ব্যাটারকে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ কীভাবে সামাল দেয়, সেটাও দেখার বিষয়।
আমারবাঙলা/জিজি