কুষ্টিয়ার মিরপুর রেল স্টেশনটি পুনরায় চালুর ৭ দফা দাবিতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় জনগণ।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অত্র এলাকার প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করেন।
আন্তঃনগর সকল ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবিতে রেলওয়ে স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে স্থানীয় জনতা।
তবে ট্রেন আটকিয়ে রাখার কারণে ট্রেনযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল গফুর, বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল করীম, উপজেলা জামায়াতের আমির রেজাউল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রহমত আলীর রব্বান, মিরপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুর রহমান বাবু, মিরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমনসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন অবহেলিত। আন্তঃনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাই সকল বাধা অতিক্রম করে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়নের সাত দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।
অবরোধের ফলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। এতে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচলে সাময়িক অনিশ্চয়তা ও শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।
ট্রেনে থাকা এক যাত্রী বলেন, দেশে কিছু হলেই রাস্তা-ঘাট আটকে মানববন্ধন করা ভালো কথা, কিন্তু জনগণের দুর্ভোগ হয়—এমন কিছু না করাই ভালো।
এদিকে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক আন্দোলনকারীদের বলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক মহোদয় জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরাসরি জানানো হয়েছে, আজকেই সকল দাবি পূরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলে অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
আমারবাঙলা/আরপি