চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসে। তার পদত্যাগ দাবিতে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পদত্যাগের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনে অংশ নেন শাখা ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতারা। এ সময় অতীশ দীপংকর হল সংসদের ভিপি রিপুল চাকমাসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তালা দেওয়ার পর চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ জনগণের করের টাকায় পরিচালিত হয়। বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় উপ-উপাচার্য যে মন্তব্য করেছেন, তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এবং নারী নির্যাতন করেছে। এমন বাহিনী সম্পর্কে দেওয়া বক্তব্যের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না বলে জানান তিনি।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, উপ-উপাচার্যের বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তার বক্তব্য থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে। এ কারণে তার পদত্যাগ দাবি করছি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চবি প্রশাসনের আয়োজিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী তখন ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে পরিস্থিতিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ধারণা অবান্তর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া তিনি এ হত্যাকাণ্ডকে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেও উল্লেখ করেন।
উপ-উপাচার্যের এসব বক্তব্যের প্রতিবাদেই আজ প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলনে নামে ছাত্র সংগঠনগুলো।
আমারবাঙলা/এনইউআ