বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে গত বছরের ডিসেম্বরে কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন। ‘ফ্রিডম টু ফিড’-এর একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নেন রাধিকা। এ সময় তিনি মাতৃত্ব ও ভারতীয় বিনোদন দুনিয়া নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
রাধিকা জানান, যখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা, তখন একে একে সেই সময় কাজ করা সব পরিচালক ও প্রযোজককে খবরটি দেন তিনি। কিন্তু একজন ভারতীয় প্রযোজকের প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত নিস্পৃহ।
রাধিকা বলেন, ‘যে প্রযোজকের সঙ্গে তখন কাজ করছিলাম, তিনি একদমই খুশি হননি। উল্টো আমার অস্বস্তি আর শরীরের পরিবর্তন উপেক্ষা করে তিনি জোর করে আমাকে আঁটসাঁট জামাকাপড় পরতে বলেন। তখন আমি মাতৃত্বের প্রথম পর্যায়ে ছিলাম। প্রচণ্ড খিদে পেত, খেতাম প্রচুর-ভাত, পাস্তা যা–ই হোক। দেহে নানা পরিবর্তন হচ্ছিল, কিন্তু সেই প্রযোজক এতটুকু সহানুভূতি দেখাননি। এমনকি শুটিং সেটে আমি যখন অসুস্থ অনুভব করছিলাম, ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলাম, তখনো আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে।’ তবে সেই প্রযোজকের নাম বলেননি অভিনেত্রী।
তবে একই সময়ে একটি আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছিল রাধিকার। তিনি বলেন, ‘একজন হলিউড পরিচালক, যাঁর সঙ্গে তখন কাজ করছিলাম, তিনি দারুণভাবে সমর্থন দিয়েছেন। আমি একদিন বললাম, আমি এখন বেশি খাচ্ছি, শুটিং শেষ হতে হতে আমি হয়তো একেবারে আলাদা দেখতে হব। তিনি হেসে বলেন, “তাতে কী? তুমি তো অন্তঃসত্ত্বা। যদি পুরোপুরি অন্য মানুষ হয়েও যাও, তবুও সমস্যা নেই।” তাঁর সেই কথা আমার মনে গভীরভাবে গেঁথে গেছে।’
রাধিকা বলেন, তিনি কখনোই বিশেষ সুবিধা বা অতিরিক্ত যত্ন চাননি, শুধু চেয়েছিলেন একটু সহানুভূতি, একটু মানবিকতা-যেটা তাঁর মাতৃত্বের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার পর পাওয়া উচিত ছিল।
২০১২ সালে ব্রিটিশ বেহালাবাদক ও সুরকার বেনেডিক্ট টেইলরকে বিয়ে করেন রাধিকা। ২০১১ সালে লন্ডনে থাকার সময় দুজনের পরিচয় হয় এবং পরের বছর তাঁরা বিয়ে করেন। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে রেড কার্পেটে হাঁটার সময় সবাইকে চমকে দিয়ে নিজের বেবিবাম্প প্রকাশ্যে আনেন রাধিকা। ডিসেম্বরেই তাঁরা মা–বাবা হন।
রাধিকা আপ্তেকে সবশেষ দেখা গেছে ‘সিস্টার মিডনাইট’ ছবিতে, যেটি পরিচালনা করেছেন করণ কন্ধারী। সামনে রাধিকা অভিনীত ইংরেজি ছবি ‘লাস্ট ডেজ’ মুক্তির পাবে। চলতি বছর সানড্যান্স উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়।
আমারবাঙলা/জিজি