আবারও সাংবাদিকদের গণমাধ্যম দিবসের গভীর রাতে একজন তরুণ সাংবাদিক এবং কলাম লেখক ওসমান এহতেশামকে তারা খুঁজে পেলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় দায়ের করা মামলায় একজন রিক্সা চালক রমজানকে মারধরের অভিযোগের মামলায় ৮৩ জন আসামীর মধ্যে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম না হলে ও নিরীহ একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ঠিকই! গত ৩ মে দুইটায় শতাধিক টোকাই ও নিজেদেরকে বিএনপি নেতা বানিয়ে খলিল আহমেদ ও আজিজকে ১৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইয়াসিন চৌধুরী আছুর ইন্ধনে বাকলিয়া থানা এলাকায় তার বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং বাসায় হামলাসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাকলিয়া থানার পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে তাকে কোতোয়ালি থানায় প্রেরণ করা হয়। কারাবন্দী সাংবাদিক এহতেশামকে দ্রুত মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা (চসাস) ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)সহ বিভিন্ন সংগঠন সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক মহল তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাববের সামনে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা(চসাস)এর নির্বাহী সদস্য তুষার দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)এর প্রতিষ্টাতা সভাপতি সোহাগ আরফিন, কে এম রুবেল, এম এ তৌহিদ, গাজী গোফরান, ফিরোজ আহমেদ, প্রনব রাজ বড়ুয়া, আনিসুর রহমান, মিন্টু দে, আসমত আলী, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন, জিয়া উদ্দিন, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সমাচারের ক্রাইম রিপোর্টার সৈয়দুল করিম খান সাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা(চসাস)এর নির্বাহী সদস্যরা বলেন, কারাবন্দী সাংবাদিক চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা, চসাসের সাধারণ সম্পাদক ওশমান গনিকে অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্টা করতে হবে। রাষ্ট্র পক্ষ থেকে বর্তমান সরকার যে কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দেওয়ার পরও একজন তরুণ সাংবাদিককে এভাবে মব সৃষ্টি করে তার বাসা থেকে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে গ্রেফতার করা চরম বেআইনি এবং সাংঘর্ষিক বলে আমরা মনে করি ।
আমারবাঙলা/ইউকে