বলিউডে একসময় পরিচিত মুখ ছিলেন সমীরা রেড্ডি। পর্দায় তিনি পরিচিতি ছিলেন নিজের আবেদনময়ী উপস্থিতির জন্য। ‘রেস’, ‘দে দানা দন’-এর ছবির নায়িকা প্রায় ১৩ বছর ধরে সিনেমার পর্দায় অনুপস্থিত। ২০১২ সালের ‘তেজ’ ছিল তাঁর শেষ ছবি। এবার দীর্ঘ বিরতির পর তিনি ফিরছেন ভৌতিক ছবি ‘চিমনি’ নিয়ে।
সমীরা জানান, তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের প্রেরণা এসেছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে, নিজের ছেলের কাছ থেকে। ‘এক বছর আগে আমার ছেলে রেস দেখে অবাক হয়ে বলল, “মা, তুমি তো এখন এ রকম দেখাও না। তুমি আবার অভিনয় করছ না কেন?” আমি বললাম, কারণ আমি তো তোমাদের দেখাশোনাতেই ব্যস্ত। ও-ই আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করল,’ বললেন সমীরা।
‘চিমনি’ শুটিং সেটে প্রথম দিনেই নার্ভাস ছিলেন তিনি। অনেকেই তাঁকে বলেছিলেন, ‘আপনি তো অনেক অভিজ্ঞ, এতটা নার্ভাস হওয়ার কী আছে।’ কিন্তু সমীরার মনে হচ্ছিল, যেন সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করছেন। তবে ক্যামেরা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন ঘুমিয়ে থাকা অভিনেত্রী জেগে উঠল। ‘অ্যাকশন শুনেই আমি চরিত্রে ঢুকে গেলাম এবং পরিচালক যেমন চেয়েছেন, তেমনভাবে অভিনয় করলাম,’ বললেন তিনি।
৪৬ বছর বয়সী সমীরা পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। করোনা মহামারির সময় তিনি এই প্ল্যাটফর্মে আরও বেশি সময় দিতে শুরু করেন। এখানে তিনি খোলাখুলি বলেন নারীদের নিত্যদিনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে-সন্তান সামলানো, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মানিয়ে চলা, বয়স ও ওজন নিয়ে সামাজিক চাপ-যেসব বিষয়ে অনেক তারকা কথা বলতে এড়িয়ে যান, সমীরা চান সেগুলো স্বাভাবিক আলোচনায় আনতে।
‘যখন দেখি আমার নারী অনুসারীরা বুঝতে পারছেন সবার জীবনেই নানা সমস্যা থাকে; সেটি তারকাই হন বা অন্য কিছু, তখন আমি খুশি হই।’ যোগ করলেন সমীরা রেড্ডি।
আমার বাঙলা/জিজি