নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ২৮ কেজি ওজনের বিশাল একটি দৈত্যাকৃতির কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। নিলামে মাছটি ৪১ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের রাশেদ মাঝি নামের এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারের ইব্রাহিম মৎস্য আড়তে মাছটি নিলামে বিক্রি করা হয়।
জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মো. রাশেদ মাঝি নামে এক জেলে মেঘনা নদীতে শুক্রবার রাতে জাল ফেলেন। এ সময় জালে বিশাল আকৃতির কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। তারপর সকালে নামার বাজারের ইব্রাহিম মৎস্য আড়তে মাছটি নিয়ে আসেন। নিলামে ১৫০০ টাকা করে বিএনপি নেতা মো. ইব্রাহিম ৪১ হাজার ৫৫০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
ইব্রাহিম মৎস্য আড়তের ম্যানেজার মো. সোহেল বলেন, জেলে রাশেদ জীবনে প্রথম এত বিশাল আকৃতির কোরাল মাছ পেয়েছেন। মাছটি পেয়ে সে খুব উৎসাহিত। ২৭ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের মাছটি ৪১ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়। আমাদের এখানে প্রায় সময় ১৭/১৮/২০ কেজির ওপরে কোরাল মাছ পাওয়া যায়। তবে এই বছরে প্রথম এত বড় কোরাল পাওয়া গেলো।
বিএনপি নেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, আমরা খুব কম সময় এত বিশাল কোরাল পেয়েছি। সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ মানুষই বড় কোরালগুলো পছন্দ করেন। আশা করছি মাছটি ভালো দামে বিক্রি করেতে পারব।
হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, হাতিয়া উপজেলা এবং বিচ্ছিন্ন নিঝুমদ্বীপ মেঘনা নদীবেষ্টিত। এখানের জেলেরা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে প্রায়ই বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদীতে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি সামনে জেলেরা সাগরে বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন।
আমারবাঙলা/জিজি