নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের বহনকারী গাড়িটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। গাড়িটিতে হামলা চালিয়ে ছাত্রনেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ মালামাল কেড়ে নেওয়া হয়। এ সময় হামলাকারীদের আঘাতে ভেঙে যাওয়া গাড়ির কাচে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই পথে বান্দরবানের লামার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন ছাত্রনেতারা।
ঘটনার সময় গাড়িটিতে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল; সদস্য রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, মাহমুদা সুলতানা, রাকিব মোহাম্মদ, মুঈনুল ইসলাম, ইব্রাহিম নীরব; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন মিতু ও ছাত্রনেতা মিশু আলী। তাদের মধ্যে রাকিব মোহাম্মদ ও মাহমুদা সুলতানা আহত হয়েছেন।
সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বান্দরবানের লামা উপজেলায় একটি স্মরণসভা ও মতবিনিময়ে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। ওই উদ্দেশ্যে রবিবার রাতে আট সদস্যের প্রতিনিধিদল একটি গাড়িতে করে ঢাকা ছাড়ে। রাত দুইটার দিকে গাড়িটি মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় হামলার শিকার হয়।
হামলার সময় গাড়িতে ছিলেন রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি বলেন, ‘গাড়িটি যানজটের কারণে থেমে থেমে চলছিল। এরই মধ্যে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা একদল লোক গাড়ির কাচ ভেঙে চালকের গলায় চাপাতি ধরে। হামলাকারী ব্যক্তিরা একপর্যায়ে গাড়িটির চারপাশ ঘিরে ফেলেন। তারা চাপাতিসহ অন্য অস্ত্রের আঘাতে পুরো গাড়িটির কাচ ভেঙে আমাদের মুঠোফোন, টাকা, ব্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি কেড়ে নেন। তারা আরিফ সোহেল ভাইকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ির বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হলে হামলাকারী ব্যক্তিরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।’
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, ‘গাড়িটি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিল। পাশেই আমাদের একটি টহল দল ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টহল দলটি এগিয়ে গেলে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে আমরা ছিনতাইকারীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করেছি।’
হামলার পর পর ছাত্রনেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আজ ভোর পাঁচটার দিকে ছাত্রনেতাদের একটি দল বান্দরবান ও আরেকটি দল ঢাকার উদ্দেশে সোনারগাঁও ছাড়ে।
এর আগে রবিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘ঢাকা থেকে বান্দরবানের লামা যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জে হামলার শিকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহর। সেখানে তাদের ব্যাগ এবং মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং অনেকেই হামলায় আহত। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি বাংলাদেশ সরকারের নিকট।’
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            