সংগৃহীত
সারাদেশ

কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নওগাঁ গ্রামবাসী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রাম। শীত মৌসুমে এ গ্রামে কুমড়ার বড়ি তৈরির ব্যস্ততা দেখা যায়। এ শীতও ব্যতিক্রম নয়।

গ্রামে ঢোকার আগে রাস্তার ডান পাশে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ কুমড়ার বড়ি তৈরির কাজ করছিলেন। কাছে গিয়ে দেখা গেল, কুমড়ার বড়ি শুধু তৈরি নয়, সেগুলো রোদে শুকানো আর বিক্রির জন্য প্রস্তুতও করা হচ্ছে।

এ গ্রামের ১৫-২০টি পরিবার কুমড়ার বড়ি তৈরির সঙ্গে যুক্ত। এখানকার কুমড়ার বড়ির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ভোজনরসিকদের কাছে পণ্যটির রয়েছে আলাদা চাহিদা। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ গ্রামে তৈরি কুমড়ার বড়ি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা।

শীতকালকে কুমড়ার বড়ি তৈরির প্রধান মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এ সময় শীতের সবজির সঙ্গে কুমড়ার বড়ির মিশ্রণ একটি জনপ্রিয় খাবার।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) নওগাঁ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ১০ জনের মতো নারী কাজ করছেন এখানে। কেউ কেউ কুমড়ার বড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো একত্র করে মাখাচ্ছেন। তিনজন কাপড়ের মধ্যে তুলে বিশেষ কায়দায় বড়ি দিচ্ছেন। রোদে একটু শক্ত হলে সেগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন আরো কয়েকজন।

কুমড়ার বড়িগুলো মো. আল আমিনের একজন ব্যবসার উদ্দেশ্যেই তৈরি করছিলেন। তিনি বলেন, এখানে কাজ করা নারীরা সকালের শীতল পরিবেশে চাল, কুমড়া ও মাষকলাইয়ের মিশ্রণে মণ্ড তৈরি করেন। এরপর বাঁশের কাঠির তৈরি নেটে পাতলা কাপড়ের উপর বড়ি বানানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই ঘণ্টা কাজ করে নারী শ্রমিকেরা ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান।

জোসনা রানী ও আকলিমা খাতুন বলেন, সংসারের কাজের ফাঁকে এখানে কুমড়ার বড়ি তৈরির কাজ করেন। যা উপার্জন করেন, তা সংসারের জন্য খরচ করেন।

গত বছরের চেয়ে এবার কুমড়ার বড়ির চাহিদা আরো বেড়েছে বলে জানান মো. শফিকুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী। বাজারে সাধারণ মানের কুমড়ার বড়ি প্রতি কেজি ২০০-২৫০ টাকা এবং ভালো মানের কুমড়ার বড়ি ৪৫০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা পাইকারদের কাছে অনেক কম দামে এই বড়ি বিক্রি করেন বলে জানান। স্থানীয় চাহিদা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং প্রবাসী স্বজনদের কাছেও এই বড়ি পাঠানো হচ্ছে।

মো. আল আমিন বলেন, পারিবারিক ব্যবসা হিসেবে আমরা কুমড়ার বড়ি তৈরি করে আসছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজ কিছুটা সহজ হয়েছে। তবে সরকারি সহায়তা পেলে আমরা বড় পরিসরে কুমড়ার বড়ি তৈরি করতে পারব।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, কুমড়ার বড়ি তৈরির মাধ্যমে অনেক মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়ে ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা হবে।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ব্লিঙ্কেনের বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে হট্টগোল 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শেষ সংবাদ স...

মানবপাচার প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে মানবপাচার প্রতিরোধে সক্রিয় কর্মীদের কমিউন...

চলতি বছর পাঁচ বড় ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য পাঁচটি বড় ঝুঁকি রয়েছে; যা...

বালু নিয়ে খেলা করায় শিশুকে পুকুরে ফেললেন শিক্ষক

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বালু নিয়ে খেলা করায় চার বছরের শ...

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন ইসরায়েলের

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের...

রাজবাড়ীতে আড়াই কোটি টাকার ফুটওভার ব্রিজের ব্যবহার নেই

রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলাদীপুর বাজারে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়...

রাজবাড়ীতে উদীচীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ীতে “ আমরাতো লড়ছি সমতার মন্ত্রে, থামবো...

মানবপাচার প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে মানবপাচার প্রতিরোধে সক্রিয় কর্মীদের কমিউন...

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে ইসি: সিইসি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সূচি দিয়েছ...

লাইফ সাপোর্টে জাতীয় কবির নাতি বাবুল কাজী

রাজধানীর বনানীতে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে দগ্ধ জাতীয...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা