ফুটবল ভক্তদের মধ্যে যাকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল সবচেয়ে বেশি, শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিতভাবেই তার হাতেই উঠল ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত পুরস্কার। বার্সেলোনার প্রতিশ্রুতিশীল লামিনে ইয়ামালকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে।
সোমবার রাতে প্যারিসে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে ২৮ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবলের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার। গত মৌসুমেই পিএসজির হয়ে ইতিহাস গড়েন দেম্বেলে।
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে এক মৌসুমে করেন ক্লাবের রেকর্ড ৮ গোল। এছাড়া সব মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ৩৫ গোল গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেছেন আরো ১৬টিতে। ফরাসি লিগ আঁ, কাপ ও সুপার কাপ মিলিয়ে দলকে ঘরোয়া সব শিরোপাও এনে দিয়েছেন তিনি। সুপার কাপে করেছিলেন জয়সূচক একমাত্র গোল।
তবে পিছিয়ে ছিলেন না কিশোর প্রতিভা লামিনে ইয়ামালও। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতার নায়ক তিনি। মৌসুমজুড়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন মাত্র ১৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। এদিকে, মেয়েদের বিভাগে রচনা হলো নতুন ইতিহাস।
বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বনমাতি টানা তৃতীয়বারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতে হয়ে গেলেন প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে রেকর্ড তিনবারের বর্ষসেরা।
২৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা গত মৌসুমে বার্সেলোনাকে ঘরোয়া ট্রেবল জেতাতে অবদান রাখেন। সব প্রতিযোগিতায় ১৬ গোল ও ১২ অ্যাসিস্টের পাশাপাশি নির্বাচিত হন উইমেনস চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুমসেরা খেলোয়াড়। যদিও ফাইনালে আর্সেনালের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়।
২০২২ সাল থেকে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হচ্ছে মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনায়, আগে যেটি নির্ভর করত পুরো ক্যালেন্ডার বছরের পারফরম্যান্সের ওপর।
সাংবাদিকদের ভোটেই নির্ধারিত হয় বিজয়ী।
ব্যালন ডি’অর ২০২৫-সেরা ১০
১. উসমান দেম্বেলে (পিএসজি)
২. লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা)
৩. ভিতিনিয়া (পিএসজি)
৪. মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল)
৫. রাফিনিয়া (বার্সেলোনা)
৬. আশরাফ হাকিমি (পিএসজি)
৭. কিলিয়ান এমবাপ্পে (রিয়াল মাদ্রিদ)
৮. কোল পালমার (চেলসি)
৯. জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (পিএসজি)
১০. নুনো মেন্দেস (পিএসজি)
আমারবাঙলা/এফএইচ