জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শোক র্যালিটি শুরু হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
শোক র্যালিতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন,
ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বিপ্লবী চেতনার ধারক শরিফ ওসমান হাদি গত শুক্রবারের আগের শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে দেশে এবং পরবর্তীতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও দুঃখজনকভাবে তিনি শাহাদাত বরণ করেন।”
তিনি আরও বলেন,মৃত ব্যক্তির প্রতি জীবিতদের মূল দায়িত্ব দুটি—একটি হলো তার জন্য দোয়া করা এবং অন্যটি তার রেখে যাওয়া আদর্শ ধারণ করা। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলার ১৮ কোটি মানুষই ওসমান হাদি। আমাদের সবার মাঝেই রয়েছে বিপ্লবী ও ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা। আমরা সবাই ভারতীয় আধিপত্যবাদকে ‘না’ বলি।”
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন,
“আজ বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকাহত। তিনি ছিলেন অন্যায় ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে উচ্চকিত কণ্ঠস্বর এবং ন্যায়ের পক্ষে এক সাহসী ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক ছিলেন। তাকে হারিয়ে দেশ এক অমূল্য সম্পদ হারাল।
তিনি আরও বলেন,
ওসমান হাদি চলে গেলেও তার রক্তের স্পৃহা আমাদের মাঝে রেখে গেছেন। তার শাহাদাত লক্ষ লক্ষ হাদি তৈরি করেছে। আজকের এই শোক দিবসে আমরা শপথ নিই—‘আমি কে, তুমি কে, হাদি হাদি’। রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের দাবি, দ্রুত তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।”
র্যালির শেষপর্যায়ে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম আশরাফ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আমারবাঙলা/এসএবি