মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নবম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার হলরুমে প্রবেশকালে মোবাইল ফোন আটকের জেরে প্রধান শিক্ষক মো. উছমান আলীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। পরীক্ষার্থীর বন্ধু পরিচয়দানকারী হায়দার আহমদ এ হত্যাচেষ্টা করে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বড়লেখা উপজেলার ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ছুরি জব্দ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
হায়দার আহমদ (১৭) উপজেলার জামকান্দি কুলাউড়া গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির কৃষিশিক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থী রাশেদ আহমদ সজিব মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় প্রধান শিক্ষক মো. উছমান আলী তার নিকট হতে মোবাইল ফোনটি নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক অজয় চন্দ্র দাসের নিকট জমা রাখেন এবং বলেন পরীক্ষা শেষে রাশেদ আহমদ সজিবকে তার ফোনটি ফেরত দিতে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হায়দার আহমদ কোমরে ছুরি লুকিয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষের সম্মুখে প্রধান শিক্ষককে রাশেদ আহমদ সজিবের মোবাইল ফোনটি তার নিকট দিয়ে দিতে বলে। সে নিজেকে রাশেদ আহমদ সজিবের বন্ধু বলে পরিচয় দেয়। প্রধান শিক্ষক ফোন দেওয়া যাবে না বললেও সে বারংবার ফেরত চায়। হায়দার আহমদ এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হওয়ায় তাকে ধমক দিয়ে স্কুল হতে বের হয়ে যেতে বলেন। তখনই সে উত্তেজিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে ধাক্কা মেরে কোমরে থাকা লুকানো ধারালো ছুরি দিয়ে বুকের দিকে লক্ষ্য করে আঘাতের চেষ্টা চালায়।
এ সময় তিনি পেছনে সরে দাঁড়ালে আঘাতটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে প্রাণে রক্ষা পান। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করায় সুমন আহমদ এগিয়ে গেলে সে তাকেও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া করে তাকে আটক করে বড়লেখা থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার ও হামলায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. উছমান আলী হত্যা চেষ্টাকারী হায়দার আহমদকে আসামি করে বুধবার বিকালে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুব্রত কুমার দাস জানান, প্রধান শিক্ষকের হত্যাচেষ্টা মামলায় হায়দার আহমদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিও জব্দ করেছে পুলিশ।
● আমারবাঙলা/এফএইচ