নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে চলতি রবি মওসুমে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সবজি উৎপাদনের জেলা হিসেবে খ্যাত জেলার ৮ উপজেলায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও শীতকালীন সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবার স্বপ্ন দেখছেন।
সদর উপজেলা, চৌগাছা, বাঘারপাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় বীজ বপন ও আগাম চাষ হওয়া সবজি পরিচর্যায় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে, যশোরের ৮ উপজেলায় চলতি মওসুমে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে।
সূত্র থেকে আরও জানা যায়, ২০২২ সালে জেলায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজির আবাদ করা হয়েছিল। এসব সবজি বিক্রি করে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হয়েছিলেন। এ কারণে এ বছর শীত শুরুর আগেই ফুলকপি, বাঁধাকপি,পালংশাক, শিম, মুলা, করলা, ঢেঁড়স, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া,লালশাক, সবুজশাক, পটল, টমেটো, বেগুন,গাঁজর, লাউসহ শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে।
কৃষকরা কোথাও জমিতে সবজির চারা বপন করছেন। কোথাও আবার নতুন গাছে আসা সবজির পরিচর্যা করছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।
কৃষকরা জানান, পুরো শীতের সময়েই বাজারে শীতকালীন সবজির চাহিদা থাকে। তবে মওসুমের শুরুর দিকে সবজির দাম ভালো পাওয়া যায়। এ কারণে তারা শীত শুরু হওয়ার আগেই শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করে দিয়েছেন।
যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল, চুড়ামনকাঠি এলাকার একাধিক সবজি চাষি বলেন, সবজি চাষের ফলে তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে। তারা স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন।উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার ব্যয়সহ সংসারের সার্বিক ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
শাক-সবজি বিক্রির জন্য এখন হাটবাজারে যেতে হয় না। সবজি ক্ষেত থেকেই পাইকাররা ন্যায্য দামে কিনে নিয়ে যান। দামও ভালো পাওয়া যায়। এখানকার ‘বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি’ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন পাইকারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মঞ্জুরুল হক জানান, যশোরে এবার আগাম শীতকালীন সবজি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শাক-সবজির আবাদ কিভাবে বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও কৃষি প্রণোদনা ও প্রযুক্তি সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে কৃষি বিভা। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            