থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়া, শীতকালীন ছুটি এবং মনোরম আবহাওয়ার কারণে দুই লাখেরও বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছে দেশের প্রধান পর্যটন নগরীতে।
সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের অধিকাংশ কক্ষই আগেই বুকিং হয়ে গেছে। অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে আজ সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছেন।
সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটকরা আনন্দঘন পরিবেশে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে চড়ে সমুদ্র উপভোগ করছেন, আবার অনেকে নোনাজলে স্নান করে উপভোগ করছেন ছুটির আনন্দ।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, সারা বছরে মাত্র দুই মাস তারা ভালো ব্যবসার সুযোগ পান। এই সময়কে সামনে রেখে পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তারা আশা করছেন, চলতি মৌসুমটি লাভজনক হবে।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, ২৪ ঘণ্টা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।
দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নানা সংকটের মধ্যেও কক্সবাজারমুখী পর্যটকদের স্রোত থেমে নেই। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, আগামী ১০ দিনের জন্য কক্সবাজারের প্রায় সব হোটেল ও মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
আমারবাঙলা/এনইউআ