কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তৎকালীন বিএনপি সরকারের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. ফজলুর করিমের ছেলে অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন।’
অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন ফেসবুক লাইভে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। ৫ আগস্টের পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, চেতনা ছিল, এক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগ করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগের যোগ দেওয়ার পর থেকে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
এ নিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল আলম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আপনার দেশপ্রেম এবং সুন্দর মানসিকতাকে স্বাগত জানিয়ে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ চিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনার এই বক্তব্য দলকানাদের বিচলিত করলেও সাধারণ মানুষ এবং সব দেশ প্রেমিকগণ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে তা সাদরে গ্রহণ করে নিবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি আবারও প্রমাণ করলেন, কিশোরগঞ্জের মানুষ রাজনীতি করে দেশের জন্য। আপনার এই বক্তব্য তরুণদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ্।’
কিশোরগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার শহীদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ফয়জুল করিম মবিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিপক্ষে নানা রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ফ্যাসিবাদী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা রকম কথা বলতেছে। সে এও বলছে, খুনী শেখ হাসিনা দেশে আসবে বা বাংলাদেশে এসে গেছে।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের রাজপথের একজন কর্মী হিসেবে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি খুনী হাসিনার অবস্থান কোথায় তা জানার জন্য মবিনকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।’
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিএনপিতে এখন মুবিনের কোনো পদ নেই। এছাড়া তার মাথাও ঠিক নেই। কাজেই তার আওয়ামী লীগে যোগদানেরও কোনো গুরুত্ব নেই।
আমারবাঙলা/এফএইচ