জাতিসংঘের আসন্ন ৮১তম সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। চলতি মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করবে। এদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ বিষয়ে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের আসন্ন ৮১তম সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে বাংলাদেশ গত চার বছর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ ফিলিস্তিন এবং সাইপ্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থী হচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ঢাকার কূটনীতিকরা আসন্ন ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য আশাবাদী। কেননা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভালো এবং সাধারণ পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান।
বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে তুরস্ক সক্রিয়, আরেক প্রার্থী ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সক্রিয়। এই হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো রাষ্ট্র বা জাতিসংঘের সদস্যের অভিযোগ নেই। এদিক দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের প্রার্থীরও ভাবমূর্তিও ভালো। এ ছাড়া এমন ধরনের নির্বাচনে এর আগে বাংলাদেশ জাপানসহ একাধিক বন্ধু রাষ্ট্রকে ছাড় দিয়েছিল। যা আসন্ন ভোটে কাজে দেবে।
এর আগে গত ৪০ বছর আগে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ৪১তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিল। ওই সময়ে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার) হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পান এবং ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি পদে আমাদের প্রতিযোগিতা ছিল সাইপ্রাসের সঙ্গে। অনেক পরে এই নির্বাচনে ফিলিস্তিন যোগ দিয়েছে। ফিলিস্তিন এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, যেটা সাধারণত করা স্বাভাবিক ছিল। এর আগে জাতিসংঘের সভাপতি পদে নির্বাচন করে জয় পাওয়াসহ বাংলাদেশ জাতিসংঘের একাধিক ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘে সাধারণত পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে পালাক্রমে সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এবারের পালা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের। এই গ্রুপ থেকেই এবার ৩ জন প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
আমারবাঙলা/এফএইচ