নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দীর্ঘ বিচারকি জীবনের বিচারকার্য শেষে অবসরে গেলেন। বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) প্রধান বিচারপতির বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস ছিল।
এদিন আপিল বিভাগের এজলাসকক্ষে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ বিচারিক কর্মদিবসে বাবা-মায়ের স্মৃতিচারণ ও বিচার বিভাগ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে কেঁদেছেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় এ আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়। প্রধান বিচারপতির কান্নার সময় এজলাসকক্ষে উপস্থিত তার মেয়ে, নাতি ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকেও কাঁদতে দেখা যায়।
বক্তব্যের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বিদায় মুহূর্তে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমার মরহুম বাবা-মাকে। আমার জন্য এবং আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য অপরিসীম কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তারা আমার সংগ্রামের পথে সহায়তা করেছেন।
এ কথা বলেই প্রধান বিচারপতি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, কেঁদে ওঠেন। এক মিনিটের মতো কথা বলতে পারেননি তিনি। এ সময় এজলাসকক্ষে উপস্থিত থাকা প্রধান বিচারপতির বড় মেয়ে, নাতি ও ছোট মেয়ের জামাইকেও কাঁদতে দেখা যায়। কিছু সময়ের জন্য এজলাসকক্ষের পুরো পরিবেশ নীরব-নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এর পর প্রধান বিচারপতি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, আমি বিচার বিভাগকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম এবং আমি চেষ্টা করেছি স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি, বিপুলসংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। এজলাসকক্ষে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।
প্রসঙ্গত, বঙ্গভবনে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথ বাক্য পাঠ করান।
এবি/ওশিন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            