আইনের বিধান অনুযায়ী যাত্রীবাহী প্রতিটি ট্রেনে নারী যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট কামরা বরাদ্দ রাখা নিয়ে রিটের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রবিবার দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
রিটের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৬ জুলাই) এ দিন নির্ধারণ করেন।
রেলওয়ে আইনের ৬৪ ও ১১৯ ধারা বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ পারভীন। এরপর রিট আবেদনকারী একই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি সম্পূরক আবেদন করেন। এসবের ওপর শুনানি নিয়ে চার বছর আগে ২০২১ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন।
আইনের বিধান অনুযায়ী যাত্রীবাহী প্রতিটি ট্রেনে নারী যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট কামরা বরাদ্দ রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
ট্রেনের প্রতিটি কামরায় শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য কিছু আসন সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।
এ ছাড়া নারী যাত্রীদের জন্য ট্রেনে নির্দিষ্ট কামরা সংরক্ষণসংক্রান্ত আইনের ওই দুটি বিধান বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
রেলসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ঢাকার ডেপুটি কমিশনারসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আগের ধারাবাহিকতায় রিটটি হাইকোর্টে উত্থাপন করা হলে ১ জুলাই আদালত রুল শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। বুধবার রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় ৮৫৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
বিষয়টি বুধবার সকালে আদালতে উত্থাপন (মেনশন) করেন বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আজমল হোসেন। তিনি বলেন, ‘রুল শুনানির জন্য রিটটি বুধবার কার্যতালিকায় ৮৫৭ নম্বর ক্রমিকে থাকায় আদালতে উত্থাপন করা হয়। আদালত আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন নির্ধারণ করেন।’
আইনজীবীর তথ্যমতে, ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ৬৪ ধারা অনুসারে প্রতিটি ট্রেনে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট কামরা থাকার কথা। ৫০ মাইলের বেশি ভ্রমণকারী ট্রেনের ক্ষেত্রে ওই কামরার সঙ্গে একটি শৌচাগার সংযুক্ত থাকবে বলা আছে। সেখানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে জরিমানা আরোপের কথা উল্লেখ আছে ১১৯ ধারায়। ওই দুই ধারার বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রেক্ষাপটে রিটটি করা হয়।
আমারবাঙলা/জিজি