৫৪ বছর ধরে দক্ষিণি সিনেমায় দাপট দেখাচ্ছেন তিনি। এখনো সমানতালে অভিনয় করে যাচ্ছেন। কেবল বক্স অফিসে সাফল্যই নয়, তাঁর অভিনীত সিনেমা ব্যাপক প্রশংসা পায় সমালোচকদের কাছেও। ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই অভিনেতা এখন পর্যন্ত অভিনয় করেছেন ৪০০–এর বেশি সিনেমায়। তিনি আর কেউ নন, মামুত্তি। আজ এই মালয়ালম অভিনেতার জন্মদিন। এ উপলক্ষে ইন্ডিয়াডটকম অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য।
আসল নাম ও শুরুর জীবন
অনেকেই জানেন না, মামুত্তির আসল নাম মুহাম্মদ কুটি পনপ্পারামবিল ইসমাইল। কেরালার কৈম জেলার চেম্পু গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা ইসমাইল ছিলেন কাপড় ও চালের পাইকারি ব্যবসায়ী, পাশাপাশি জমিতে ধানও ফলাতেন। মা ফাতিমা ছিলেন গৃহিণী।
মামুত্তি প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭১ সালে। এর পর থেকে টালিউড, তামিল ও হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর ছেলে দুলকার সালমানও এখন মালয়ালমের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক।
পুরস্কার ও সম্মাননা
ক্যারিয়ারে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন মামুত্তি। ১৯৯৮ সালে ভারত সরকার তাঁকে দিয়েছে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’।
বিলাসবহুল গাড়ির সংগ্রহ
অভিনয়ের পাশাপাশি গাড়ির প্রতি মামুত্তির দুর্নিবার আকর্ষণ। তাঁর ব্যক্তিগত গ্যারেজ যেন একটি শোরুমের মতো। এই সংগ্রহে আছে জাগুয়ার এক্সজে-এল, ফেরারি, টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার এলসি ২০০, মিনি কুপার এস, বিএমডব্লিউ ৫৩০ডি, পোর্শে, টয়োটা ফর্চুনার ও ভক্সওয়াগন পাসাট এক্স২-এর মতো দামি গাড়ি।
প্রাসাদসম বাড়ি
‘মানিকন্ট্রোল’-এর তথ্য মতে, কোচির কেসি জোসেফ রোডে অবস্থিত মামুত্তির বাড়ির বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি রুপি। সব সুবিধাসম্পন্ন এই বাড়িটি যেন এক বিলাসবহুল ভিলা। এ ছাড়া ছেলে দুলকার সালমানের সঙ্গে তিনি কোচিতেই আরেকটি অভিজাত ভিলা কিনেছেন। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু থেকে শুরু করে দুবাইয়েও তাঁর সম্পত্তি আছে।
সম্পদের পরিমাণ ও পারিশ্রমিক
‘জিকিউ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামুত্তির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৪০ কোটি রুপি (প্রায় ৪১৩ কোটি টাকা)। একটি ছবির জন্য তিনি নেন ৪ থেকে ১০ কোটি রুপি পর্যন্ত। তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মামুত্তি প্রোডাকশনের ব্যানারে ইতিমধ্যে একাধিক হিট ছবি প্রযোজনা হয়েছে।
আমারবাঙলা/জিজি