বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আজ।
মঙ্গলবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল।
এতে দুই দেশের অভিন্ন নদীর পানি হিস্যা, বণ্টন ও প্রবাহ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকার পক্ষ থেকে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি কারিগরি দল নয়াদিল্লির বৈঠকে যোগ দেবে।
পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তির বাস্তবায়ন ছাড়াও আজকের বৈঠকে ধরলা, দুধকুমার, গোমতী, খোয়াই, মনু ও মুহুরীসহ ১৪টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ চায় উভয় দেশ আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এসব নদীর পানি ব্যবহার করুক।
১৯৭২ সালের মার্চে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে জেআরসি গঠন হয়।
এটি গঠনের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে– দুই দেশের বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে অভিন্ন নদীর ব্যাপক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
এ ছাড়া বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের বিস্তারিত প্রকল্প প্রণয়ন ও প্রধান প্রধান নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেচ প্রকল্পের ওপর সমীক্ষা পরিচালন, উভয় দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধায় পানি সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহারের বিষয়ও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
১৯৯৬ সালের পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তির পর তা বাস্তবায়নে একটি কমিটি বছরে তিনবার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২৯ বছরে কমিটি এখন পর্যন্ত ৮৭ বার বৈঠক করেছে। করোনা মহামারির সময় এই বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।
যৌথ কমিটির দিল্লিতে ৮৮তম বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। চলতি বছর এটি কমিটির তৃতীয় বৈঠক। গত মার্চে কলকাতায় ও মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে।
আমারবাঙলা/এফএইচ