নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর প্রগতি স্মরণির সুবাস্ত টাওয়ারের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে বাঁশতলার মোড়ে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, পালেস্টাইন সংহতি কমিটির সদস্য ডা. হারুন উর রশীদ, বাংলাদেশে বসবাসরত আমেরিকান নাগরিক ও ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নাগেশ রাও, সংগীত শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শাওন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমাসহ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে প্রতিবাদী গান ও “স্টান্ড ফর প্যালেস্টাইন” পারফমেন্স আর্ট প্রদর্শন করেন সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের শিল্পীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও আর্থিক সমস্ত দিক দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
পুরো পৃথিবীর মানুষ আজ এ গণহত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। এমনকি খোদ আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সেই আন্দোলন দমনে নজীরবিহীন পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে।
একদিকে পুরো বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যায় সক্রিয় সমর্থন আর সহায়তাও দেয়। তাই তাদের কথা আজ মানুষ বিশ্বাস করে না। আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নেবার দাবি জানাই।
ফিলিস্তিনের নিপীড়ত মানুষের সাথে সংহতি জানাই। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে তাদের পাশে থাকবো।
কণ্ঠশিল্পী ও অ্যাক্টিভিস্ট ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান বলেন, প্রতিবাদ জানাতে গেলে বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমরা সর্বনিকটে কতটুকু যেতে পারি? আমাদের ইচ্ছা ছিল, আমরা আরও ভেতরে যাব। তাদের সাথে কথা বলব। সেখানে যতদুর সম্ভব বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে এখানে একটা চাপ প্রয়োগ করব। সে পর্যন্ত আমরা যেতে পারিনি।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার জনগণের সমস্ত অধিকার হরণ করেছে। ফিলিস্তিনে গণহত্যায় পুরো পৃথিবীর মানুষ যখন সরব প্রতিবাদ জানাচ্ছে তখন গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে সরকার বাঁধা দিচ্ছে।
আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি সংগ্রামের বন্ধু। আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে আমাদের প্রতিবাদ জারি রাখবো।
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান- লেখক রেহনুমা আহমেদ, সাংবাদিক সাইয়েদা গুলরুখ, আমেরিকার কোলগেট বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষক নাভিন মুর্শিদ, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভূইয়া, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডির) সভাপতি তৌফিকুজ্জামান পীরাচা, ছাত্র ফোরামের সভাপতি সানজিদুর রহমান শুভ, ইসলামী ছাত্র জমিয়তের সভাপতি নিজাম উদ্দীন আল-আদনান ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডসহ নেতৃবৃন্দ।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            