নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়—৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার ও প্রচারণামূলক সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। কিন্তু কক্সবাজার–১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় আসনে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের কোনো চিত্র দেখা যাচ্ছে না।
নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় এখনো প্রকাশ্যে ঝুলছে দাঁড়িপাল্লা ও ধানের শীষ প্রতীক সংবলিত পোস্টার ও ব্যানার। বহদ্দারকাটা, পূর্ব বড় ভেওলা, কেনাখালীসহ একাধিক এলাকায় সড়কের ওপর, অলিগলি, দেয়াল এবং বৈদ্যুতিক খুঁটিতে এসব প্রচারণা সামগ্রী দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, এসব দৃশ্য নির্বাচন আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, তফসিল ঘোষণার পর পোস্টার অপসারণে প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। বরং অনেক জায়গায় আগের মতোই ব্যানার ও পোস্টার ঝুলে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে চকরিয়ার নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।” তবে ইউএনওকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পরও প্রকাশ্যে প্রচারণা চলতে থাকা এবং প্রশাসনের নীরব ভূমিকা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে আইন লঙ্ঘন হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের মাঝে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সচেতন নাগরিক বলেন, “নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর না হলে সাধারণ মানুষের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
এদিকে মারুফ নামের এক ব্যক্তি দাবি করেন, প্রশাসন যদি দ্রুত মাইকিং বা লিখিত নির্দেশনার মাধ্যমে কঠোর অবস্থান নেয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে পোস্টার ও ব্যানার অপসারণ সম্ভব। তাঁর মতে, প্রশাসনের সক্রিয় ও দৃঢ় ভূমিকা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা কঠিন।
আমারবাঙলা/এনইউআ