আশ্রাফ উজ-জামান রুবেল: সাতক্ষীরায় বই উৎসবের দিন বিতরন করে পরদিনই আবার ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে জেলার ১০৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বই ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
বইয়ে কোনো প্রকার ভুল আছে কিনা সেটা দেখার জন্যই এমনটা করা হচ্ছে বলে জানায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) হোসনে ইসায়মিন করিমী। তিনি বলেন, জেলার সাত উপজেলার ১০৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বই শিক্ষার্থীদের থেকে ফেরত নেওয়া হচ্ছে।
গত সোমবার (১ জানুয়ারি) বই উৎসবের পরপরই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণকৃত ওই পাঠ্যবইটি ফেরত নেওয়ার জন্য স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তারা।
এরপর থেকে ওই বই শিক্ষার্থীদের থেকে ফেরত নেওয়া শুরু করেন ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তবে কি জন্য এই পাঠ্যবই ফেরত নেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই বিদ্যালয়ে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইগুলো জমা দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যারা আসতে কিংবা বই জমা দিতে দেরি করছেন তাদেরকে মুঠোফোনে দ্রুত বই জমা দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
বই জমা দিতে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বই বিতরণের পর স্ব-স্ব ক্লাসটারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা আমাদেরকে তৃতীয় শ্রেণির বিতরণকৃত ইসলাম ধর্মের সব বই ফেরত দেওয়ার জন্য বলেন। এজন্য আমরা উপস্থিত থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বইগুলো ফেরত নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি। অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে না আসলেও আমরা শিক্ষকরা তাদের বাসাতে গিয়ে বই সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা কাজ করছি। বিস্তারিত কতৃপক্ষ বলতে পারবে।
তারা আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সকাল থেকে শিক্ষকদের থেকে বই সংগ্রহ করছি। পরবর্তীতে তারা যে নির্দেশনা দেবেন আমরা সেটা পালন করবো।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুঁইয়া চৌধুরী বলেন, ‘প্রিন্টিং মিসটেকের কারণে বইগুলো তুলে নেওয়া হচ্ছে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) হোসনে ইসায়মিন করিমী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনোকিছু বলা সম্ভব না। এ বিষয়টা পরে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            