থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যেকোনো ধরনের হয়রানি প্রতিরোধ এবং প্রতারক চক্রের অপতৎপরতা রুখে দিতে রাতভর বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের নেতৃত্বে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী, ইনানীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই টহল কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
টহল কার্যক্রম চলাকালে অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ নিজে উপস্থিত থেকে পুরো অভিযান তদারকি করেন। তিনি সৈকতে অবস্থানরত পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন এবং কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হয়েছেন কিনা তা সরাসরি জানতে চান। একই সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো ধরনের সমস্যা, হয়রানি কিংবা সন্দেহজনক কার্যকলাপ চোখে পড়লে দ্রুত ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নেওয়ার জন্য। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন,
“থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকের চাপ বেশি থাকে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা আগেই নিরাপত্তা জোরদার করেছি। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ও আনন্দের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কোনো ধরনের হয়রানি, প্রতারণা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বরদাশত করা হবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় পর্যটকদের পাশে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পর্যটনবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আমারবাঙলা/এনইউআ