গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় বুধবার (১৬ জুলাই) হামলা-সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর বৃহস্পতিবারের (১৭ জুলাই) পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে। লোকজনের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারফিউ জারি থাকায় লোকজনের উপস্থিতি কম হলেও জনশূন্য নয় শহর।
এদিকে ঘটনাস্থলসহ পুরো শহরেই টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় লোকজনকে সড়কে অযথা অবস্থান না করার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছিল। দুপুর ১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত দলটি লঞ্চ ঘাট এলাকায় এসে কিছু সময় অবস্থান করে। এ সময় তারা সড়কে থাকা লোকজনকে সরিয়ে দেয়। এর মধ্যে দুজনকে আটক করতে দেখা যায়।
এর আগে গোপালগঞ্জ পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা আগেরদিনের সংঘর্ষের সময় ছোড়া ইটের টুকরো সড়ক থেকে সরিয়ে ফেলেন। সড়ক বিভাজকের কংক্রিটের ব্লকগুলো অনেক স্থানে ব্যারিকেডের মতো ফেলে রাখায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পরে পুলিশ সেগুলো তুলে আবার সড়কের মাঝখানে বসিয়ে দেয়।
কারফিউ থাকায় মার্কেট ও দোকানপাট বেশিরভাগই বন্ধ রয়েছে। তবে সড়কের পাশের বা গলির ভেতর দু-একটি করে দোকান খোলা ছিল। উৎসুক অনেক মানুষকেও শহরে দেখা গেছে।
খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় বিক্রয়কর্মী মো. হাসান বলেন, এমন ঘটনা কারও প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, হরতাল-কারফিউ হলে আমাদের সমস্যা। আমরা এই পরিস্থিতিতে সবাই আতঙ্কে আছি।
নিহত সোহেল রানার প্রতিবেশী সোনিয়া আক্তার বলেন, এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে কয়েকদিন ধরেই এখানে উত্তেজনা চলছে। তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি? কেন এমন ঘটনা ঘটল? এখন মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে।
আমারকাঙলা/জিজি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            