সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারের দগদগে ঘা এখনও আছে। তবে সেসব পেছনে ফেলে এখন মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। এবার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, যাদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জয়টা দশ বছর আগের ঘটনা। সেই দলের মুখোমুখি হওয়ার আগে লিটন দাস জানালেন, বিশ্বের যে কোনো দলকেই হারাতে পারে বাংলাদেশ।
লাহোরে বুধবার (২৮ মে) সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তার আগে লিটনকে মনে করিয়ে দেওয়া হলো সেই আমিরাত সিরিজের কথা। তবে সেসব পেছনে ফেলে নতুন শুরুর চ্যালেঞ্জ হিসেবেই পাকিস্তান সিরিজকে দেখলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘শেষ সিরিজটিতে আমরা সন্তোষজনকভাবে খেলতে পারিনি। এটা নতুন সিরিজ, নতুন চ্যালেঞ্জ। আলোচনা–সমালোচনা হবেই। ভালো ক্রিকেট না খেললে এটা তো স্বাভাবিক বিষয়। আমাদের সবারই চেষ্টা থাকে যেন ভালো খেলতে পারি। আমরা জানি, কোথায় কী ভুল করেছি। চেষ্টা করব সেটার পুনরাবৃত্তি যেন এখানে না হয়।’
বাংলাদেশ দল যেন জেকিল অ্যান্ড হাইডের মূল চরিত্র। এই ভালো, তো এই খারাপ। গেল ডিসেম্বরের কথাই ভাবুন, সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশ দারুণভাবে সিরিজ জিতেছিল, হোয়াইটওয়াশ করেছিল স্বাগতিকদের। তার মাস চার না ঘুরতেই আমিরাতের কাছে এমন হার।
এ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় দলের অধারাবাহিক বৈশিষ্ট্যটা। বিষয়টা লিটনও মেনে নিচ্ছেন। সেটা না হলে কী হতো, তাও জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ধারাবাহিক হতাম, তাহলে হয়তো বিশ্বের সেরা দলগুলোর ভেতরই থাকতাম। আমরা যেহেতু পেছনের দল, তার মানে আমাদের কিছু ঘাটতি আছে। ওই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি...কীভাবে ধারাবাহিক হওয়া যায়। প্রতিটা সিরিজে আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে। চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে নিচ্ছি, দল হিসেবে কীভাবে আমরা একসঙ্গে পারফর্ম করছি, এটা হলো আসল বিষয়।’
আমিরাতের কাছে এমন হার যে দলের মনোবলে চিড় ধরাতে পারেনি, তার জানান দিলো তার পরের কথাটা। লিটন বললেন, ‘আমাদের বিশ্বাস আছে, পৃথিবীর যেকোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারি। কিন্তু আমরা এখন ভালো ক্রিকেট খেলছি না। অতীতে কী ভালো ও খারাপ করেছি, তা জানি। এখন সামনে কীভাবে খেলব, তা নিয়ে ভাবছি।’
আমারবাঙলা/জিজি