ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বনাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় এই সংঘর্ষ হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ছত্তিশগড় পুলিশের আইজি (বস্তার রেঞ্জ) সুন্দররাজ পাটিলিঙ্গম বুধবার বলেন, “দন্তেওয়াড়া এবং বিজাপুরের ডিআরজি, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং কোবরা (কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কমান্ডো বাহিনী) সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন।”
নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির) গতিবিধির খবর পেয়েই যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে যায়। সংঘর্ষস্থল থেকে ১২ মাওবাদীর মরদেহের পাশাপাশি সেল্ফ লোডিং রাইফেল (এসএলআর), ইনসাস, রাইফেল এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে আইজি পাটিলিঙ্গম জানিয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৭৫ জন নিহত হয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন—মাওবাদী সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, তার স্ত্রী রবি ভেঙ্কট লক্ষ্মী চৈতন্য ওরফে অরুণা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর, পিএলজিএর শীর্ষ কমান্ডার মাধভী হিডমার মতো শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা।
মাওবাদী গেরিলাদের কয়েক দশক ধরে চলা সশস্ত্র বিদ্রোহ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পরও নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযান চলছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে মাওবাদী বিদ্রোহ পুরোপুরি নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লি সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
● আমারবাঙলা/এফএইচ