বাংলাদেশ সময় গত শুক্রবার রাতে কানাডার টরেন্টোর বাংলাদেশ হাই-কমিশনের কনস্যুলেট অফিসে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন সামিত সোম। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সামিতের ই-পাসপোর্ট হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম সামিতের পাসপোর্ট হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাসপোর্ট হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষে খেলার জন্য আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন কানাডা জাতীয় দলে খেলা ফুটবলার সামিত। এখন শুধু তার ফিফার অনুমোদন প্রয়োজন।
বাফুফে আগামীকাল সামিত ও তার বাবা মায়ের সকল ডকুমেন্টস, কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের ছাড়পত্রসহ সকল কিছু দিয়ে ফিফায় আবেদন করবে। ফিফা প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি ‘সবুজ সংকেত’ দিলেই সামিত বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য ফিফার অনুমোদন আসতে তিন মাসের বেশি সময় লেগেছিল। হামজা ইংল্যান্ডের সিনিয়র দলে না খেললেও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ইউরোপীয় মহাদেশের টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন।
সামিত কানাডার সিনিয়র দলের হয়ে ২ ম্যাচ খেললেও সেটা প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় আনঅফিশিয়াল ম্যাচ হিসেবে কানাডা তাদের ছাড়পত্রে উল্লেখ করেছে। এতে ফুটবল ফেডারেশনের ধারণা সামিতের ফিফা ক্লিয়ারেন্স খানিকটা দ্রুতই আসবে। ১০ জুন এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সামিতকে খেলাতে হলে ৩ জুনের মধ্যে বাফুফেকে ফিফার ক্লিয়ারেন্স পেতে হবে।
সামিতের পাসপোর্ট আবেদন কানাডা থেকে করা হয়েছিল। ঢাকা থেকে পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে সেটা এখন কানাডায় পাঠানো হবে। বাফুফে পাসপোর্টের তথ্য সম্বলিত পাতার মাধ্যমে মূলত ফিফায় আবেদন ও আনুষ্ঠানিক কাজ করবে। বাফুফে সময়ক্ষেপণ না করে আগামীকালের মধ্যেই ফিফায় আবেদন সম্পন্ন করতে চায়।
আমারবাঙলা/জিজি