সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল। বিভিন্ন সময় সরকার বিরোধী আন্দোলন অগ্রসর হতে থাকে। তেমনি ৪ আগষ্ট ছিল ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের এক টার্নিং পয়েন্টের দিন। সে দিন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমার নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাহেবের দিক নির্দেশনায় সকল পর্যায়ের জনসাধারণকে নিয়ে প্রথম নেতৃত্ব দেয় সিরাজগঞ্জ বিএনপি। জেলার সকল রাজপথ দখল করে নেয় জনসাধারণ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা ও মিডিয়ায় কল্যাণে সারা দেশে ব্যাপি এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে, এর ফলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে যায়, একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
আন্দোলনের বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু কাকার নেতৃত্বে আন্দোলন করছি। কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে বাচ্চু কাকা সে নিজেই রাজপথে সামনে থেকে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছে।
জেলা ছাত্র সমন্বয়ক জুয়েল বলেন, আন্দোলনে আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পর আন্দোলন স্থিমিত হয়ে পড়ে। আমাদের নামে এমনকি আমাদের পরিবারের নামে মামলা হতে থাকে, পুলিশ ডিবি আমাদের খুঁজতে থাকে। আমার পিতাকে ধরে নিয়ে যায়। ওই দিন বাচ্চু কাকা ডিবির কাছে যৌক্তিক দাবী তুলে ধরলে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এসময় বাচ্চু ভাই বলেন, নেতা হতে হলে হামলা মামলা চলবেই, এগুলো দেখে ভয় পেলে চলবে না। তোমরা ঐক্যবদ্ধ হও, আমরা মাঠে আছি। তখন আমরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্টদের দোষর ছাত্রলীগ, যুবলীগ মুক্ত করি সিরাজগঞ্জ রাজপথ ।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আহসান হাবিব উজ্জ্বল বলেন, ৪ আগষ্ট আমরা আগে থেকেই জেলার নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে বাচ্চু ভাইয়ের নেতৃত্বে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীরা সিরাজগঞ্জ জেলার রাজপথ দখল করে নেয়। এসময় আ’লীগ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে বাচ্চু ভাইয়ের নির্দেশনা ছিল, মারা গেলে যাব কিন্তু কেউ পিছু হটব না। এসময় আ’লীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিন বিএনপি নেতা শহীদ হয়।
জেলা ওমর কৃষ্ণ দাস জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বলেন, আসলে জাতির ক্লান্তি লগ্নে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাহেবের দিক নির্দেশনায় সিরাজগঞ্জ বিএনপি এবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ সময় সিরাজগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে জেলা ব্যাপী হামলা চাঁদাবাজি দখল বন্ধে বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, আমি শহীদ জিয়ার সৈনিক। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমার নেতা তারেক জিয়া। তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমি দল পরিচালনা করি। আমার জাতীয় নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাহেব ভার্চুয়াল ভাবে সব সময় দিক নির্দেশনা দিতেন। আমার সভাপতি রুমানা মাহমুদ আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছে, নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে, যা আমি আজও চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি দুঃসময়ে পিছু পা হয়নি। আমার মা আমাকে তা শিখাইনি। আমরা নয় ভাই বোন। আমরা খুব কষ্ট করে মানুষ হয়েছি। আমি আমার বাপের আলোতে আলোকিত না, আমি আমার ভাইয়ের আলোতে আলোকিত না। আমি পরিশ্রম করে এতো দূর এসেছি। আমি দুঃসময়ে বিএনপি’র আপামর নির্যাতিত নেতাদের পাশে থেকে মামলা মোকদ্দমায় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
আমার বাঙলা/এমআর
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            