আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলীয় নতুন সমীকরণ ও রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় চট্টগ্রাম-১০ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাচ্ছেন পাট শ্রমিক দলের সভাপতি এবং সদ্য প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তুর্য। অন্যদিকে, আগের ঘোষিত প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১১ আসনে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত অথবা শনিবারের মধ্যেই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন। এর আগে ১৯৯১ সালের উপনির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
তবে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন আমীর খসরু। এরপর ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বন্দর-পতেঙ্গা এলাকা থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। সর্বশেষ দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকেই তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ আসনটি তার ছেলে ইস্রাফিল খসরুর জন্য চেয়েছিলেন। তবে প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তুর্য আগে থেকেই ওই এলাকায় সক্রিয় জনসংযোগ শুরু করেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে আমীর খসরু দীর্ঘদিনের আসন চট্টগ্রাম-১১ ছেড়ে চট্টগ্রাম-১০ এ আগ্রহ দেখান। কিন্তু চট্টগ্রাম-১১ আসনে নতুন করে কোনো প্রার্থীর নাম তখনো ঘোষণা করা হয়নি।
সর্বশেষ দলীয় সমীকরণে চট্টগ্রাম-১০ আসনে সাঈদ আল নোমানকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পুনরায় চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাঈদ আল নোমানের ঘনিষ্ঠ আরিফুল ইসলাম মিঠু বলেন,
“বিষয়টি আমরা শুনেছি, তবে অফিসিয়ালি এখনো জানানো হয়নি। তবে কাল-পরশু মধ্যে আমরা সুখবর পাবো।”
দলীয় সূত্রগুলোর দাবি, এই প্রার্থী পরিবর্তনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি আরও সুসংহত হবে এবং নির্বাচনী মাঠে নতুন গতি আসবে।
আমারবাঙলা/এনইউআ