বক্স অফিসে অভাবনীয় সাফল্যের পথে হাঁটছে আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ছবিটির ব্যবসা ৬০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে, যা দর্শকমহলে সিনেমাটিকে নিয়ে আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই সাফল্যের বড় একটি কারণ হয়ে উঠেছেন অভিনেতা অক্ষয় খান্না। ছবিতে রেহমান ডাকাত চরিত্রে তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের মধ্যে আলাদা করে দাগ কেটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে তাঁর দৃশ্য, সংলাপ কিংবা এক্সপ্রেশন রিলস হোক বা শর্টস, সবখানেই ঘুরছে অক্ষয়ের নাম।
এই চরিত্রে অক্ষয় খান্নাকে বেছে নেওয়ার পেছনের গল্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নেন ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া।
দর্শক প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ছাবড়া বলেন, ছবিটি মুক্তির পর অনলাইনে যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তা অভাবনীয়। তাঁর মতে, অক্ষয়ের অভিনয় দর্শকদের এতটাই নাড়া দিয়েছে যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে তাঁর চরিত্রটিই বিশেষ করে তাঁর পর্দায় প্রবেশের মুহূর্ত এবং চরিত্রের সূক্ষ্ম অভিনয়।
তবে এত প্রশংসা ও জনপ্রিয়তার মাঝেও অক্ষয় খান্নার ব্যক্তিত্বে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি বলে জানান ছাবড়া। তিনি বলেন, অক্ষয় নিজেও এমন প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। কারণ, তিনি এমন একজন অভিনেতা, যিনি শুধুই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং প্রচারের দিকে খুব একটা মনোযোগ দেন না।
রেহমান ডাকাত চরিত্রটির জন্য কাস্টিংয়ের সময় একাধিক অভিনেতার নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে জানান ছাবড়া। নানা দিক বিবেচনা করে তালিকা ছোট হতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত অক্ষয় খান্নার নামেই এসে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
ছাবড়া জানান, গল্প শোনার দিন অক্ষয় একাই উপস্থিত হয়েছিলেন। কোনো তাড়া না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পুরো কাহিনি শোনেন তিনি। গল্প শেষ হওয়ার পর তাঁর প্রতিক্রিয়াও ছিল খুবই সহজ ও আন্তরিক—তিনি জানান, গল্পটি তাঁর ভালো লেগেছে এবং চরিত্রটি তাঁকে আগ্রহী করেছে।
অক্ষয়ের পেশাদার মনোভাবের কথাও আলাদা করে উল্লেখ করেন মুকেশ ছাবড়া। তাঁর ভাষায়, গল্প শোনার পর অক্ষয় স্পষ্ট করে বলেন, তিনি স্ক্রিপ্টটি পড়ে তারপর সিদ্ধান্ত জানাবেন। এবং তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি কথা দিলে তা রাখেন। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার এই মানসিকতাই তাঁকে আলাদা করে চিহ্নিত করে।
আমারবাঙলা/এসএবি