চট্টগ্রামের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ‘বুইস্যা বাহিনী’র প্রধান শহীদুল ইসলাম প্রকাশ বুইস্যাকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব ৭।
গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন ফিনলে সাউথ সিটি এলাকার দিগন্ত খাজা টাওয়ার থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় বুইস্যার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বুইস্যা ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন পশ্চিম ষোলশহর এলাকায় বসবাস করছিলেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই চান্দগাঁও থানার কাঁচাবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘টেম্পু’ ও ‘বুইস্যা’ বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় র্যাব অভিযানে বুইস্যা বাহিনীর ১১ সদস্যকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও লুট হওয়া অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হলেও বুইস্যা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গত ৪ অক্টোবর বুইস্যার সহযোগী মুন্নার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিলে র্যাব বুইস্যা ও তার বাহিনীর ওপর গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ.আর.এম. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গ্রেপ্তার বুইস্যা চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় অস্ত্র ব্যবসা, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। চাঁদাবাজিতে বাধা দিলে ভুক্তভোগীদের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এলাকার একটি গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করা হতো বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সে।
তিনি আরও জানান, চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বুইস্যা ও টেম্পু বাহিনীর তৎপরতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। উল্লেখ্য, একই দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বুইস্যা বাহিনীর অপর শীর্ষ সদস্য ইসমাইল হোসেন টেম্পুকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, বুইস্যার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, নাশকতা ও মাদকসহ মোট ৪২টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার সন্ত্রাসীকে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
আমারবাঙলা/এনইউআ