মোহাঃ ফরহাদ হোসেন: ভারী বর্ষণ ? না, দূর্নীতির ডামাডোলে ভেঙ্গে গেছে ৩২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৬০ টাকার সেতু ?
২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে নির্মিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নলবোনা খালের উপর নির্মিত সেতুটির কাজ শুরু করা হয় ২০১৯ সালে। দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে শিবগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পূর্বের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেতু ভেঙ্গে নির্মান করা হয়েছিল সেতু। গত ৩১ অক্টোবর রাতে বৃষ্টির পানিতে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় সেতুটি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই সেতু ভাঙাকে কেন্দ্র করে জনমনে ক্ষোভ সঞ্চয় করে রেখেছেন। তারই একজন আমিনুল ইসলাম (চুটু) ডাক্তার বলেন, ব্রীজটি নির্মানে অনিয়ম দেখতে পেয়ে আমি বাধা দেই,বাধা দেয়ার কারনে আমাকে লাঞ্চিত ও অপমানিত হতে হয়েছিল। তৎকালীন বিনোদপুর ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য ঈদুল আহমেদ বলেন, ব্রীজের অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও খাইরুল মেম্বার যিনি পরবর্তীতে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন তারা আমাকে গালিগালাজ ও মারার হুমকি দেয়।
জেনারুল, আব্দুল মোত্তালেব হারুনুর রশীদ বলেন,খাইরুল চেয়ারম্যান কে দিয়ে তখনকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ব্রীজের কাজটি করান তাই তখন ব্রীজে অনিয়ম হলেও ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারিনি। এই বিষয়ে খাইরুল চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সেতুর কাজ আমি করিনি বা আমার ঠিকাদারি লাইসেন্সও নাই। আমি পিআইও সঙ্গে কাজ দেখতে গেছিলাম, কি কাজ হয়েছে ,কারা কাজ করেছে, আরিফুল সাহেব সব জানেন । তবে শিবগঞ্জের কোন এক ঠিকাদার এই কাজটি করেছেন বলে জানান তিনি।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে যোগাযোগ করে ঠিকাদার অফিসের নাম জানা যায়, মের্সাস ঝুমা এন্টারপ্রাইজ , প্রোপাইটার: হেমন্দ চন্দ্র বর্মন, বি-৩২২ উপশহর রাজশাহী কাজটি করেছেন বলে জানা যায়। এই বিষয়ে তৎকালীন শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম যিনি বতর্মানে নওগাঁ মান্দা উপজেলায় কর্মরত আছেন, যোগাযোগ করা হলে মিটিং আছি পরে কথা বলবো বলে আর ফোন রিসিভ করেন নাই। বর্তমান বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, ব্রীজটি ৮-৯ বছর আগে নির্মান করা হয় কিন্তু নির্মানের সময় ব্রীজটিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে এই বেহালদশা তৈরি হয়েছে।
এই বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজাহার আলী বলেন,কালভার্টের পাশে মাটি ফেলে সংস্কার কাজ করা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আমার বাঙলা/এরএ