বাগেরহাটে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৫ মে) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে সদর উপজেলার রায়পাড়া এলাকার মোসা: তানিয়া নামে এক অসহায় মহিলা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ সময় ফাতেমা বেগম, মোঃ ইসরাফুল বাবু, মিনি বেগম, মোসাম্মৎ রিজিয়া, বিউটি বেগম, রজনী বেগম উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মোসাঃ তানিয়া জানান, আমরা চার বোন দুই ভাই। বর্তমানে আমার ভাইসহ আমরা সকলে যশোরে বসবাস করছি। আমার পিতা ২০০৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যশোরে মারা যান। আমার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় তার ক্রয়কৃত বাগেরহাট সদর উপজেলার আড়পাড়া মৌজায় সিএস ২৯৬ ও এসএ ১৩৯ খতিয়ানে ১ একর ৩২ শতক সম্পত্তি আছে। তিনি জীবিত থাকাকালীন আমার পিতার ১ একর ৩২ শতক সম্পত্তি হানীয় বাগেরহাট সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের সায়মনের ছেলে আহম্মদ ও মোহম্মদ দেখভাল করতো ও বাৎসরিক উৎপাদিত ফসলের একটি অংশ আমাদের প্রদান করতো। কিন্তু ২০০৭ সালে পিতা মারা গেলে আমরা আমাদের সম্পত্তিতে আসলে আহম্মদ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় পার্শ্ববর্তি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী লিটন মল্লিককে দিয়ে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। তারা আমাদের জানিয়ে দেয়, তোদের সকল সম্পত্তি তোদের দাদা রেজবার শেখ আমাদের কাছে বিক্রী করে দিয়েছেন। তাই তোদের কোন অংশ এখানে নাই। এক পর্যায়ে তারা আমার মাসহ সকল ভাই বোনের উপর চড়াও হয় ও হামলা করে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী লিটন, আহম্মদ ও তাদের লোকজনের হামলায় আমিসহ আমাদের পরিবারের লোকজন আহত হই।
তিনি বলেন, আমরা সদর থানা, পুলিশ সুপার বরাবার অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। সন্ত্রাসীরা মুক্তিয়োদ্ধা ও আওয়ামী লীগ এর সাথে সম্পৃক্ত তাদের ক্ষমতা ও অর্থের কাছে আমরা কোন প্রকার আইনের সহায়তা পাইনি। পরে বাগেরহাট ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করি যাহার নং ২৩৬৭/১৪ ও দেওয়ানী ৪৫/২২। বিগত ০৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতন হলেও তাদের হুমকি ধামকি থেমে নাই। তারা এলাকায় এখনো প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকার্ডের ভয়ে এখনো আমাদের পৈত্রিক বাড়িতে প্রবেশ করতে পারি না। এমনকি আমরা মামলা পরিচালনার জন্য কোর্টে আসলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন এ সন্ত্রাসীরা। তাই বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
আমারবাঙলা/ইউকে