গত ১৮ ডিসেম্বর আগামী দুই বছরের জন্য বান্দরবান জেলা পিটিশন রাইটার ও দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, এই সেবামূলক ও সামাজিক সংগঠনটি ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
সভাপতি পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে কলম প্রতীক নিয়ে ২০ ভোট পেয়ে উদয় শংকর পাল তপন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোলাইমান বই প্রতীক নিয়ে ৬ ভোট লাভ করেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চসিংমং মার্মা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুভাষ কান্তি দাশ বসু কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে ৬ ভোট পান।কোষাধ্যক্ষ পদে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জয় দাশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিপু সুলতান চশমা প্রতীক নিয়ে ৮ ভোট লাভ করেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাপলা ফুল প্রতীক নিয়ে ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সোহেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবুল বাশার চশমা প্রতীক নিয়ে ৮ ভোট পান।নির্বাচনে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রিদামং মার্মা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ফলাফল ঘোষণা করেন তৌহিদুল ইসলাম।ফলাফল ঘোষণার পর বিদায়ী সভাপতি রমজান আলী তার বক্তব্যে বলেন, “সুখে-দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার কোনো বিকল্প নেই।” এ সময় তিনি নবনির্বাচিত সভাপতিকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করেন।
বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “সমিতির মানোন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।” পরে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক চসিংমং মার্মাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়।কোষাধ্যক্ষ পদে জয় দাশকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ সিরাজ নতুন বছরের জন্য দায়িত্বভার অর্পণ করবেন বলে জানান।
এছাড়া বিদায়ী সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার সংগঠনের দায়িত্ব পালনে নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেলকে হাসিমুখে গ্রহণ করতে দেখা যায়।
আমারবাঙলা/এসএ