সরকারি চাকরিতে ইস্তফা প্রদানের পর তথ্য গোপন করে পুনরায় যোগদান, যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণপত্র পরিবর্তন করে কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করা এবং ফৌজদারি মামলায় কারাভোগের তথ্য গোপন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডা. ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(গ) মোতাবেক অসদাচরণ ও পলায়ন এর দায়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিভাগীয় মামলা (নং ৪২/২০২৩) রুজু করেন।
ডা. ফাতেমা দোজা কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানি না চাওয়ায় অভিযোগ তদন্তের জন্য উক্ত বিধিমালার বিধি ৭(৩) অনুসারে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ডা. ফাতেমা দোজাকে গুরুদন্ডস্বরূপ চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং কেন উক্ত দন্ড তার উপর আরোপ করা হবে না, তা জানানোর নির্দেশ দিয়ে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়।
ডা. ফাতেমা দোজা দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদান করেন এবং জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গুরুদন্ডস্বরূপ তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকমিশনের মতামত চাওয়া হলে কমিশন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন ।
ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির নিকট প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে পেশ করা হলে রাষ্ট্রপতি উক্ত প্রস্তাব অনুমোদন করার পর সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৪(৩) (ঘ) মোতাবেক ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে জারিকৃত উক্ত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।
আমারবাঙলা/জিজি