ফরহাদ হোসেন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে “উপজেলা প্রশাসন অলিম্পিয়াড ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা ” এর সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে পুরুষ্কার হিসেবে সাইকেল,ব্যাগ,হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন পেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধীরা উচ্ছাসিত হয়েছে।কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে অস্বচ্ছল নারী উদ্যোক্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থী এবং নারী উদ্যোক্তা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে এসব উপকরন দেয়া হয়।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানায়, উপজেলা ব্যাপি ৩০ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাস ব্যাপি বির্তক প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের এবং উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত অলিম্পিয়াডে বিজয়ী প্রথম স্থান অধিকারী ৭১ জনকে সাইকেল ও ২৫১ জনকে ব্যাগ বিতরন করা হয়।এছাড়াও সমাজে দু:স্থ অসহায় ২৭ জনকে হুইল চেয়ার এবং দরীদ্র ২২ উদ্যোক্তাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন করা হয়।
সদ্য যোগদানকারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সোলায়মান এসব উপহার তুলে দেন এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও তিনি সংষ্কার হওয়া শিল্পকলা একাডেমি ভবন ও টেনিস কমপ্লেক্স ভবনের উব্ধোধন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক পত্নী মাফরুখা বেগম এবং উপজেলা নির্বার্হী অফিসার পত্নী মোসা: আরাফাতে জান্নাত আরবীও উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলীর সভাপতিত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ সহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমার বাঙলা/আরএ
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন,“এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, মেধা ও যুক্তিবোধ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে শিক্ষা ও সংস্কৃতিমূলক কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নেই। উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মকে ইতিবাচক প্রতিযোগিতার চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে। পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে সাইকেল বিতরন কার্যক্রম।সেসাথে প্রশিক্ষণ দেয়ার পর যেসব নারী উদ্যোক্তাদের সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে তাদের পর্যবেক্ষনে রাখা হবে।যেন তারা সফল হতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী বলেন “অলিম্পিয়াড ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের চিন্তা, বিশ্লেষণ ও প্রকাশের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। প্রশাসনের এই আয়োজন শুধু প্রতিযোগিতা নয়, এটি ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম।”
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও নেতৃত্ব বিকাশে উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে অভিভাবক ও শিক্ষকরা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।