রিশাদ হোসেন পরীক্ষায় কেমন করলেন? পিএসএল এখনো শেষ হয়নি। ফাইনাল বাকি। তবে ফাইনালের আগ পর্যন্ত রিশাদের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে তাঁকে কোন গ্রেড দেওয়া যায়? এ প্লাস, এ গ্রেড নাকি অন্য কিছু!
বিদেশে নিজের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে রিশাদের যে পারফরম্যান্স তাতে অন্তত ‘এ’ গ্রেড দিয়ে দেওয়া যায়। পিএসএলে এই লেগ স্পিনার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৬ ম্যাচ। উইকেট নিয়েছেন ১২টি। ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৯.১০।
একটু বেশি মনে হচ্ছে? রিশাদ যে লেগ স্পিনার, একটু বেশি রান দেওয়ার স্বাধীনতা তাঁর আছে! এই যে কালকের ম্যাচটা ধরুন। ৩ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৪। কিন্তু উইকেট নিয়েছেন তিনটি, যাঁরা ইসলামাবাদের মূল ব্যাটসম্যান-শাদাব খান, সালমান আগা ও জিমি নিশামের। আর লেগ স্পিনারের রান খরচা একটু বেশি হলেও তো উইকেট নেন। রিশাদ সে কাজটাই করছেন।
টুর্নামেন্টে রিশাদের শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। নিজের খেলা প্রথম দুই ম্যাচে নেন ৩টি করে উইকেট। পরের ম্যাচে ২টি। একটা সময় ছিলেন পিএসএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও।
নিজের খেলা প্রথম ২ ম্যাচে ৬ উইকেট নিতে খুব বেশি রানও খরচ করেননি রিশাদ। প্রথম ম্যাচে খরচ দিয়েছেন ৩১, পরের ম্যাচে ২৬। তবে মুলতান সুলতানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ২ উইকেট নিতে ৪৫ রান দেন রিশাদ। পরের ম্যাচে ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
এরপর তিন ম্যাচে রিশাদকে বসিয়ে রাখে লাহোর। ফেরার ম্যাচে রিশাদ নেন ২৮ রানে ১ উইকেট। এরপর ভারত–পাকিস্তান সংঘাত ও আরব আমিরাত সিরিজের কারণে বড় বিরতি দিয়ে কাল লাহোরের হয়ে মাঠে ফেরেন রিশাদ। এলিমিনেটরের আগে দলে যোগ দিলেও করাচির বিপক্ষে সেই ম্যাচে সুযোগ পাননি।
মনে রাখতে হবে, পুরো টুর্নামেন্টেই রিশাদের দলে জায়গা পেতে লড়াই করতে হয়েছে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেও সুযোগ পাননি। এরপর তিন ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়ায় দলে তাঁকে স্থায়ী ভাবা হচ্ছিল। তবে এক ম্যাচ খারাপ করতেই বাদ পড়েছিলেন। বিশেষ করে লাহোরে খেলা ম্যাচগুলোতে তাঁকে বসিয়ে রেখেছিল শাহিন আফ্রিদির দল। সেই লাহোরেই কাল তিনি জ্বলে উঠেছেন। দলকে নিয়ে গেছেন ফাইনালে। রিশাদ তো একটু ভালো গ্রেড আশা করতেই পারেন।
তবে রিশাদের ব্যাটিংটা আরও ভালো করা উচিত ছিল। ৬ ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ২৩। স্ট্রাইক রেটও ১০০–এর নিচে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৪.১৮ স্ট্রাইকধারী ব্যাটসম্যানের জন্য যা বেমানান।
আমারবাঙলা/জিজি